‘পরিকল্পনাবিদদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব’

পরিকল্পনাবিদদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন পরিকল্পনাবিদরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলামোটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের মিলনায়তনে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বার্ষিক কর্মপর্যালোচনা, নীতিগত দিকনির্দেশনা ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ ফোরাম হিসেবে বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিকল্পনাবিদরা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু ঝুঁকি ও বহুমাত্রিক নগর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিকল্পনা পেশার ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি একটি রূপান্তরকামী সময়ে প্রমাণভিত্তিক, সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পরিকল্পিত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পরিকল্পনাবিদদের ভূমিকা এখন রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার অংশ হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা, অন্তর্ভুক্তি ও পরিকল্পনার অনুশীলন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়েছে এবং এই প্রেক্ষাপটে বিআইপি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও কমিশনের নিকট পরিকল্পিত উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিগত প্রস্তাবনা প্রদান করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সাল পরিকল্পনা পেশার জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর, কারণ অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক স্থানিক পরিকল্পনা অধ্যাদেশ অনুমোদনের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে, যেখানে বিআইপি প্রণীত স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো ও দীর্ঘদিনের এডভোকেসি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
অঞ্চলভিত্তিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং শহর ও গ্রামীণ এলাকার ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো অব বিআইপি উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ক-শ্রেণির পৌরসভাগুলোতে শহর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগ, পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়নে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং স্মার্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সক্ষম পেশাজীবী ও পরামর্শক গড়ে তোলা সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিআইপির ১৭তম কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান ২০২৫ সালে বিআইপি’র বিভিন্ন কার্যাবলী এবং ইনস্টিটিউটের বার্ষিক অগ্রগতি সম্পর্কে একটি বিশদ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ জাহিদ হাসান খান, সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, বোর্ড মেম্বার উসওয়াতুন মাহেরা খুশি, সাবেক কোষাধক্ষ পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ রাসেল কবির প্রমুখ।
এএসএস/বিআরইউ