‘হাদি ভাই, আমাদের রেখে একা কোথায় চলে যাচ্ছো..!’

‘হাদি ভাই, আমাদের রেখে তুমি একা কোথায় চলে যাচ্ছো, আমাদেরও নিয়ে যাও, একা তো চলে যাওয়ার কথা না.... ও হাদি ভাই...!’ ওসমান হাদির মরদেহ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানোর সময় এভাবেই আহাজারি করছিলেন তার রাজনৈতিক কয়েকজন সহকর্মী।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থানে এসে পৌঁছায়।
তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে শবযাত্রায় অংশ নেওয়া কাউকেই কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে হাদির লাশ কবরস্থানে ঢুকার মুহূর্তে ওসমান হাদির অসংখ্য সহকর্মীদেরও চোখে অশ্রু ঝরতে দেখা যায়। হাবিবুর রহমান নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, হাদি ভাইয়ের সঙ্গে অসংখ্য দিন নির্বাচনী কাজ করা হয়েছে। হাদি ভাইয়ের স্মৃতিগুলো কোনোভাবেই ভুলা যাচ্ছে না। এইরকম হাদি আর কখনও ফিরে আসবে বলে মনে হয় না।

এদিকে হাদির লাশবাহী গাড়ি কবরস্থান এলাকায় ঢুকার সময়ে অ্যাম্বুলেন্সের ছাদে করে আসতে দেখা গেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ও ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবেরকে। তারা মাইকের মাধ্যমে জনতাকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং মরদেহ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অসংখ্য মানুষ গাড়ির সঙ্গে হেঁটে যেতে শুরু করলে একাধিকবার যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয় ভূমিকা নেন। তবুও মানুষের ঢল থামেনি। ‘হাদি হাদি’ স্লোগানে পুরো এলাকা বারবার মুখর হয়ে ওঠে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নেওয়ার পথে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় সাময়িকভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, জনসমাগমের কারণে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
টিআই/এমএসএ