এডিপি বাস্তবায়নে আমাদের ঘাটতি রয়েছে

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শনিবার (২৬ জুন) ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত এক বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। অনলাইন মাধ্যমে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এতে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ূন রশীদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ মাহফুজ কবির প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এডিপির ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমি যখন চাকরি শুরু করি, তখন যে অবস্থায় ছিল, এর চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এখন। হয়ত সাগর পরিবর্তন করতে পারিনি, কিন্তু পুকুর পরিবর্তন করতে পেরেছি।
আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ূন রশীদ বলেন, বাজেটে থোক বরাদ্দ হিসেবে সাত হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন আবার লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে যেন এই টাকা গরিব মানুষের জন্য খরচ করা হয়। ব্যাংক থেকে প্রণোদনার টাকা নিয়েছেন। ব্যাংকগুলো মনে করছে, তাদের অনেকেই টাকা ফেরত দিতে পারবে না। তিনি মনে করেন, করোনার মধ্যেও সংস্কার কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে।
মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, রিজার্ভ বাড়লেই তা অর্থনীতির জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। আমরা হয়তো শ্রীলঙ্কা ও সুদানকে ঋণ দিয়ে বাহবা নিতে পারব। এই অর্থ বসিয়ে না রেখে অর্থনীতিতে কাজে লাগানো উচিত। এ বিষয়ে তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, শরীরের সুগার (চিনি) ভালো। এটি ৬ শতাংশ পর্যন্ত সহনীয়, কিন্তু ১৩-১৪ শতাংশ হয়ে গেলে ডায়াবেটিস হয়ে যাবে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে মেগা শিল্প প্রতিষ্ঠা ও আমদানি-বিকল্প শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের জন্য ১০ বছরের কর ছাড়ের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে। এই ছাড়টি তিন ও চার চাকার গাড়ি, বাড়ি ও রান্নাঘরের সরঞ্জাম এবং হালকা প্রকৌশল পণ্যগুলোর নির্মাতাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এই শর্তে যে, তাদের স্থানীয় মূল্য সংযোজন হবে ২০-৪০ শতাংশ, স্থানীয় কর্মসংস্থান এবং মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের প্রচার করবে।
এসআর/জেডএস