লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ

সম্প্রতি লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাহের আল-বাউরের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার।
গত ২২ ডিসেম্বর ত্রিপোলিতে লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ-লিবিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করেন। সাক্ষাৎকালে লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের কর্মকালীন সময়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং অত্যন্ত উৎসাহ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তাহের আল-বাউর লিবিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের কল্যাণে রাষ্ট্রদূতের নিরলস প্রচেষ্টা এবং লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তার কার্যকর ও সমন্বিত যোগাযোগের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি মানবপাচার প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
লিবিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং রাষ্ট্রদূতের সুস্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত তার দায়িত্বকালীন সময়ে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত সহযোগিতা ও সহায়তার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিসমূহ দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এবং মন্ত্রীর উত্থাপিত বিভিন্ন প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
এ ছাড়া লিবিয়া থেকে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার জন্য তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনে সহায়তার বিষয়টি তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
এনআই/বিআরইউ