‘বিয়ে করে কোনো অপরাধ করিনি’

‘বিয়ে করে কোনো অপরাধ করিনি। আমার স্ত্রী যখন আমার সঙ্গে সংসার করতে চায়নি, তখন তাকে দেশের প্রচলিত আইন ও ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী তালাক দিয়েছি। এটাও কোনো অপরাধ নয়। অথচ একটি মহল আমাকে হেয় করার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
বুধবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়ার চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।
তিনি বলেন, ‘নাজনীন আক্তারের সঙ্গে গত ১৮ মে বাউফলের নাজিরপুরের ফারুক আকনের ছেলে সোহেলের বিয়ে হয়। ২০ মে সে সোহেলকে তালাক দেয়। সোহেলকে তালাক দিয়ে সে আমাকে বিয়ে করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ জুন নাজনীন আক্তারকে রেজিস্ট্রি করে আমি বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের পর আমি জানতে পারি, পাশা নিবাসী রমজান নামের একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং এ বিয়ের কথা শুনে রমজান ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’
চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘এ ঘটনায় বিব্রত হয়ে নাজনীনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে স্বীকার করে। পরে এ বিষয়ে করনীয় কি জানতে চাইলে নাজনীন তার প্রেমিকের কাছে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং আমাকে তালাক দিতে সম্মত হয়।’
তিনি বলেন, ‘২৫ জুন আমাকে তালাক দিয়ে নাজনীন তার প্রেমিকের কাছে চলে যায়। যাওয়ার সময় তার চাচা, দাদা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি কোনো অপরাধ করিনি। তবে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে আমি নাজনীনকে নাকি জোর করে বিয়ে করেছি। যা সত্য নয়।’
এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই মানুষ সত্যটা জানুক। এ ব্যাপারে আর কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য আমি সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি। আমি সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।’
এআর/আরএইচ