কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রতিদিন টিকা পাবেন ৪০০ জন

সিনোফার্মের করোনাভাইরাসের টিকা নিতে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে অনেকেই ভিড় করছেন। সকাল থেকেই হাসপাতালটিতে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর টিকা পেয়ে অনেকেই খুশি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন ৪০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথমে হাসপাতালটিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘবিরতি শেষে সিনোফার্মের টিকা কার্যক্রম শুরু হলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিবন্ধনের অনেকদিন পর হলেও টিকা পাওয়ায় সবাই খুশি। নারী ও পুরুষের আলাদা বুথে দেওয়া হচ্ছে এ টিকা। টিকা দেওয়ার পর বিশ্রামের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালটির মূল ফটকে চলছে করোনা উপসর্গ পরীক্ষা করার কার্ক্রম। আরেকপাশে রোগী ভর্তির কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।

রাজধানীর উত্তরা ৫ নং সেক্টর থেকে টিকা নিতে এসেছেন মো. আশিক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত এপ্রিল মাসে নিবন্ধন করেছিলাম। মাঝখানে টিকা কার্ক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটু চিন্তিত ছিলাম। অবশেষে টিকা নেওয়ায় ভালো লাগছে।
হাসপাতালটির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এ কে এম সরওয়ারুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন ৪০০ জনকে এ টিকা দেওয়া হবে। আমরা পুনরায় সবাইকে এসএমএস এর মাধ্যমে তথ্যটি জানিয়ে দিচ্ছি। প্রথম দিন হিসেবে অনেকের মধ্যেই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি জানান, আমরা আগে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সরকারেরও এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। যতদিন সরকারের পক্ষ থেকে টিকার কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হবে ততদিন চলবে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রথমবার প্রায় দুই ডোজ মিলে হাসপাতালটিতে ৩৮ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছিল। আগের নিবন্ধনকারীদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার এখনো টিকা নেননি। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আজ থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
গত মার্চ মাসে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন মো. আসাদ আলী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিকা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল সেটি কেটে গেছে। বিশ্বব্যাপী টিকার সংকটের কথা শুনে আসছি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আবার টিকা নিতে পারছি এটা অনেক বড় ব্যাপার। অনেক ভালো লাগছে, অন্তত টিকা নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকা যাবে।
একে/জেডএস