নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাপস ব্যবহার করছি

নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাপস ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জেনারেশন ইকুয়িটি ফোরাম, প্যারিস আয়োজিত ‘লিঙ্গ সমতার জন্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন’ শীর্ষক অ্যাকশন কোয়ালিশন অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সাহসী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে এই প্রতিশ্রুতির অনেকগুলোই পূরণ হয়নি। বিশ্বব্যাপী রাজনীতি, অর্থনীতি এবং শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহজনক নয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদ সদস্যদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ নারী। শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের তুলনায় এখনও ৩১ শতাংশ কম। সাহসী নীতিমালা তৈরি ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের অবশ্যই এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন তার সরকারের অগ্রাধিকার।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে সংযুক্তির মাধ্যমে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন অর্থবহ হয়েছে। নারী আইটি প্রফেশনাল এবং দক্ষ নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প চালু করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় আমরা বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাপস ব্যবহার করছি। সাইবার প্লাটফর্মগুলোতে নারীদের নিরাপত্তা বাড়াতে গত তিন বছরে ৭১ হাজারের বেশি মেয়েকে সাইবার সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় প্রযুক্তি স্টার্টআপ এবং ই-কর্মাসসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বেইজিং সম্মেলনের ২৫তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমার আগের প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় আজ আবার শপথ নিতে চাই। টেক স্টার্ট আপস এবং ই-কমার্স সেক্টরসহ আইসিটি সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে ২০২৬ সালের মধ্যে তা ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ করব।
এইউএ/এসএসএইচ