নানা প্রয়োজনে সড়কে মানুষ

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীতে বেড়েছে মানুষের চলাচল। সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশার সংখ্যাও।
রোববার (৪ জুলাই) রাজধানীর লেকসার্কাস, কলাবাগান ও পান্থপথ সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সরেজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের তিন দিনের তুলনায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেশি। দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনের তাগিদে এবং বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। কেউ বেরিয়েছেন অফিসের কাজে কেউ আবার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। তবে যারাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন গন্তব্যস্থলে পৌঁছোতে নির্ভর করতে হচ্ছে রিকশার ওপর। স্বল্প দূরত্বে হেঁটেও গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে।

বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য পান্থপথ সিগনালে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রফিকুল আহসান। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে বারডেমে যেতে হচ্ছে। অসুস্থতার জন্য তো চিকিৎসা নিতেই হবে। ঘরে বসে থাকলে তো আর চলবে না।
চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের উদ্দেশে যাত্রা করতে দেখা যায় ফরিদ-আমিনা নামের দম্পতিকেও।
আবার লকডাউনের প্রথম দুই দিন হোম অফিস করলেও এখন সশরীরেই অফিসে যেতে হচ্ছে বলে জানান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত অনেকেই।
চেকপোস্টগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা রিকশাযোগে সড়কে বের হওয়া মানুষজনকে থামিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করতে দেখা যায়। এছাড়াও প্রজ্ঞাপনের বিধিনিষেধ মানাতে সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহ অন্যান্য বাহিনীর টহল গাড়িও দেখা যায়।

অপরদিকে, মূল সড়কের আশপাশের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে পাড়া-মহল্লার অলিগলির সবধরনের দোকানপাট। পশ্চিম পান্থপথ ও শুক্রাবাদের আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার বাজার ও অলিগলিতে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি কোনোটিই মানা হচ্ছে না যথাযথভাবে। দোকানি এবং ক্রেতা অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। ভাসমান চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডাও দিতে দেখা যায় অনেককে।
আরএইচটি/এনএফ