কাজের অনুমতির পরও গ্রেফতার কেন? প্রশ্ন ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তার

লকডাউনে সরকারি আদেশ অমান্য করার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সেলস অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রশ্ন রেখেছেন, কেন তাকে হয়রানি করা হলো? সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে কাজ করার পরও কেন তাকে গ্রেফতার করা হলো?
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ঢাকা পোস্টের কাছে নিজের এসব প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি আজ ১০ বছর। মূলত আমার কাজ নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, হাতিরপুল, হাতিরঝিল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। আজ (মঙ্গলবার) সকালে প্রতিদিনের মতো আমি হাতিরপুল এলাকায় ভিজিট করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে যাচ্ছিলাম। এরমধ্যেই কলাবাগান থানার ওসি সাহেব গাড়ি নিয়ে এসে বললেন এখানে সবাইকে ধরেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে এক পুলিশ এসে আমার হাত ধরে ফেলেন। তাকে আমি বললাম ভাই আমি তো ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। এই আমার আইডি কার্ড। তখন তিনি বললেন, স্যার, বলেছেন ধরতে, আমরা ধরছি। আপনি গাড়িতে ওঠেন থানায় চলেন। এরপর আমাকে থানায় নিয়ে গেল, থানায় নিয়ে হাজতখানায় রাখল। এরপর আমাকে কোর্টে নেওয়া হয়েছে। এখন আমি জামিনে ছাড়া পেলাম।
সরকার কাজ করার অনুমতি দিয়েছে তারপরও কেন এভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে, এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা তো মানুষের সেবা করি। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সাপ্লাই দিই। আমার মাস্ক ছিল, আইডি কার্ড ছিল, সরকারের নিয়ম ভাঙিনি। তারপরও ওসি সাহেবের নির্দেশ আমাকে ধরতে হবে কেন?
থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে অনেককে গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সাইফুলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় আমাদের একটি চেকপোস্ট ছিল। সেখানে জরুরি কাজ ব্যতীত এবং যারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তায় বের হয়েছিলেন তাদের আটক করা হয়। আমার জানা মতে ওই ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তা মাস্ক পরে বের হননি রাস্তায়। এক্ষেত্রে চলমান লকডাউনের স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। তাই তাকে আইন অনুযায়ী আটক করে নিয়ম অনুযায়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে কোনোভাবেই হয়রানি করা হয়নি। তিনি নিজের অপরাধ লুকিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
টিএইচ/এমএসি/এনএফ