‘কঠোর বিধিনিষেধের’ শেষ দিনে মানুষের চাপ আমিনবাজারে

টানা ১৪ দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধের’ আজ শেষ দিন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে চলমান ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ শিথিল করা হয়েছে। ঈদের পর আবারও ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এই কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের খবরেই বাড়িফেরার সাধ পূরণে সড়কে নেমেছেন সাধারণ জনগণ। গত কয়েকদিন সড়কে বাড়িফেরা মানুষের চাপ কম থাকলেও বুধবার (১৪ জুলাই) চাপ বেড়েছে আমিনবাজার ও গাবতলীতে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও ট্রাকের আনাগোনা বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মজীবী অনেক মানুষ বাড়ির উদ্দেশে আমিনবাজারে এসে জড়ো হচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ মাইক্রোবাসে, কেউ প্রাইভেটকারে আবার কেউ ট্রাকে করেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। বেশিরভাগ যাত্রীই সরাসরি গাড়ি না পেয়ে মোটরসাইকেলে ঘাট পর্যন্ত যাচ্ছেন। এজন্য জনপ্রতি ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৬০০ টাকা। প্রাইভেটকারে ৫০০ ও মাইক্রোবাসে ৪০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

আমিনবাজার কথা হয় শওকত নামের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি সিরাজগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর থেকে রিকশায় গাবতলী পর্যন্ত এসেছেন। শওকত ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক ঠিকাদারের অধীনে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করি। প্রতিদিন ৫০০ টাকা হাজিরা পাই। গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতোদিন বসেই ছিলাম। কিন্তু গতকাল লকডাউন শিথিলের খবরে আগেভাগেই বাড়িতে চলে যাচ্ছি। পরে গেলে অনেক জ্যাম হবে। আমি একটি ট্রাক যাব বলে ৫০০ টাকায় ঠিক করেছি। কিছুক্ষণ পর গাড়ি ছাড়বে।
মতিন নামের এক মাইক্রোবাসের ড্রাইভার জানান, ঘাটে জনপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তায় পুলিশ আপাতত কোনো ঝামেলা করে না। যাত্রী নিয়ে গেলে পুলিশ ছেড়ে দিচ্ছে।
এসআর/এমএইচএস