শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় জর্ডান সিনেটর প্রেসিডেন্ট

মহামারি করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের বেশি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন জর্ডানের সিনেটর প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফয়সাল আকিফ আল-ফায়েজ।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন প্রশংসা করেন জর্ডানের সিনেটের প্রেসিডেন্ট।
ফয়সাল আকিফ বলেন, করোনা মহামারির মতো কঠিন সময়ে বাংলাদেশ কীভাবে তাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে বিষয়টি চিহ্নিত করেছে জর্ডান।

গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুকে জানানো হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে।
আইএমএফের ভাষ্য, ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে তিন দশমিক ৮০ শতাংশে। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হয় মাইনাসের কোটায়।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি লে. কর্ণেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণাবলীর কথা তুলে ধরেন। তিনি জর্ডানে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জর্ডানের সাবেক সিনেটর ড. শাওশান মাজ আলী, পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক ড. বদরুল আহসান ও জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান।
জর্ডানের সাবেক সিনেটর শাওশান মাজালী বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র গুরত্বসহকারে তুলে ধরেন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন এবং এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের অবদানের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ সফর করা জর্ডানের এই সাবেক সিনেটর এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভিভূত হওয়ার কথাও তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী মুজিববর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে তরুণ বঙ্গবন্ধুকে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি তার রাজনৈতিক ও দর্শনতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
জন্মশতবার্ষিকীর এই সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কীভাবে তার তরুণ বয়সে প্রভাব ফেলে তার ইতিহাস টানেন। তিনি জর্ডান দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করায় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। এই কর্নার বিদেশিদের বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে চেনাতে সহায়তা করবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন নাসের।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান আশা প্রকাশ করেন যে, দূতাবাসে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু কর্নারে আসা দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধু কীভাবে বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎসর্গ করেছিলেন তার সম্পর্কে ধারণা পাবে।
এনআই/এইচকে