সওজের প্রকৌশলী ও স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চায় দুদক

বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল প্রামানিক ও তার স্ত্রী মীনা পারভিনের অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যে কারণে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
সংস্থাটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রামানিক দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য তাদের নামে পৃথক নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদক যখনই কারও বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পায়, তখন সম্পদের বিবরণী নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে দুদক আইনের ২৬(১) ক্ষমতাবলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
দুদক পরিচালক আব্দুল গাফফার স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ মো. আব্দুল জলিল প্রামানিক ও তার স্ত্রী মীনা পারভিনের নওগাঁ জেলার কাশিয়াবাড়ির নিজ বাড়ি ও ঢাকার মিরপুরের ৬ নং সেকশনের কল্যাণপুরের নাভানা গার্ডেনের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া তাদের অভিযোগটি অনুসন্ধান করেছেন। অনুসন্ধানে তাদের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট ও ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
নোটিশে আব্দুল জলিল প্রামানিক তার নিজের এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও এসব অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল প্রামানিক বর্তমানে পিআরএলে রয়েছেন।
আরএম/জেডএস