ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ছেড়েছে প্রায় অর্ধকোটির মতো মানুষ। প্রিয়জন ও পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতেই যানজটসহ নানা ভোগান্তি সঙ্গে করে তারা ঢাকা ছাড়ে।
বিপুল সংখ্যক মানুষ চলে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকা এখন কার্যত ফাঁকা। রাজপথ থেকে অলিগলি- সবখানেই মানুষের উপস্থিতি কম। তবে দুপুরের পর মূল সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে থাকে।
ঈদের দিন বুধবার (২১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, বাস ও প্রাইভেটকার চলছে। অনেকে কোরাবানির মাংস আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় পৌঁছে দিতে বের হয়েছেন। কোরবানি দাতারা দরিদ্রদের মধ্যে মাংস বিতরণ করছেন।
এছাড়া, খুব বেশি দোকানপাট খোলা নেই। করোনার বিধিনিষেধ থাকায় রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোও একেবারে ফাঁকা। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে থাকা তীব্র যানজট আজ একেবারেই ছিল না। গণপরিবহন চললেও যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম।
ঈদের ছুটির আমেজে আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী, গুলশান, লিংক রোড, রামপুরা, উত্তর বাড্ডা ও শাহজাদপুর, বিমানবন্দর ও উত্তরার মতো ব্যস্ত এলাকাগুলোতে মানুষের চলাচল তেমন নেই, নেই ব্যস্ততা। সরকারি বেসরকারি অফিস, শপিংমল, দোকানপাট ও ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলো বন্ধ থাকায় মানুষের উপস্থিতি কম। মূল সড়কের সঙ্গে ফুটপাতও অনেকটাই ফাঁকা।
দুপুর আড়াইটার দিকে কোরবানির মাংস নিয়ে শাহজাদপুর এলাকা থেকে খালার বাসা বনশ্রীতে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বাস ও সিএনজির দেখা না পেয়ে রিকশায় রওনা হয়েছি। ভাড়া একটু বেশি নিলেও ফাঁকা রাজধানীতে রিকশায় চড়তে মন্দ লাগছে না।
কিছুক্ষণ পর বাড্ডায় কথা হয়, ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক সাঈদুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের আগে অনেক যানজট ছিল। কিন্তু আজ থেকে রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা। তবুও গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। অনেকে কোরবানির মাংস নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যান। কিছু যাত্রী হয়তো পাওয়া যাবে।
গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন যারা যানজট ও টিকিট না পাওয়ার কারণে রাজধানী ছেড়ে যেতে পারেননি, তারা আজ যাচ্ছেন। এ দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর র্যাব ও পুলিশ। ফাঁকা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র্যাবের গাড়ি। রাজধানীর নিরাপত্তা সম্পর্কে ঈদের আগের দিন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ডিএমপিতে জনবল স্বল্পতা থাকার পরও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশি টহল বাড়ানোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এমএসি/আরএইচ