রাজধানীমুখী মানুষ কমেছে গাবতলীতে

ঈদ পরবর্তী চলমান কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর সড়কে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া গাড়ি বেড়েছে। তবে ঢাকার বাইরে থেকে আসা গাড়িকে রাজধানীতে ঢুকতে পুলিশের কড়া চেকের মুখে পড়তে হচ্ছে। এদিকে, পায়ে হেঁটে এবং নানান উপায়ে রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে অনেককে।
রোববার (২৫ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি সেবা ও রিকশা ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে না। সাভার, আমিনবাজার থেকে আসা গাড়িগুলো গাবতলী ব্রিজের প্রবেশদ্বারে পুলিশের কঠোর চেক পার হতে হচ্ছে।
দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িই ছাড়া হচ্ছে না। তবে সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এদিকে, অনেকেই পায়ে হেঁটে ঢাকা ছাড়ছেন। গাবতলী থেকে ব্রিজ পার হয়ে আমিনবাজার গেলেই মিলছে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার। মূলত আমিনবাজার থেকেই বাড়িফেরা মানুষগুলো গাড়ি ধরে বাড়ি যাচ্ছেন।
ফরিদপুর থেকে জরুরি সেবার অজুহাতে মো. সাইফুল নামের একজন প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। যাওয়ার পথে আমিনবাজার থেকে কিছু যাত্রী নিতে পাটুরিয়া ঘাট বলে ডাকা হচ্ছে। এই প্রতিবেদক ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনপ্রতি ৬০০ টাকা। তবে সাংবাদিক পরিচয় জানার পরে সাথে সাথেই গাড়ি নিয়ে চলে যান তিনি।
গাড়ি নিয়ে ছুটে যাওয়ার আগে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, আমার কিছু আত্মীয় নিয়ে জরুরি কাজে ঢাকায় এসেছিলাম। তাদের বাসায় দিয়ে গাড়ি নিয়ে এখন ফরিদপুর যাচ্ছি। এজন্য যাওয়ার পথে কিছু যাত্রী পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত নিতে চাচ্ছিলাম।
লকডাউনে যাত্রী নিলে পুলিশ ঝামেলা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরি বললে ছেড়ে দেয়। তবে রাজধানীর মধ্যে ঢুকলে বেশি ঝামেলা করে। ঢাকার বাইরে সেরকম ঝামেলা নাই বললেই চলে।
অন্যদিকে, একজন মোটরসাইকেল চালক এই প্রতিবেদকে বলেন, যাত্রী পাচ্ছি না। ঢাকার মধ্যে ঢুকতে পারছি না। তবে আমিনবাজার থেকে হেমায়েতপুর, সাভার ও পাটুরিয়া ঘাটে যেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। লকডাউনে আমাদের খুব কষ্ট হয়। আমরা দিন আনি দিন খাই। একদিন আয় না করলে আমার পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আমাদের এই কষ্টের কথা পুলিশও জানে। এজন্যই গাড়ি নিয়ে বের হলে বেশি ঝামেলা করে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এবারের বিধিনিষেধ গতবারের চেয়ে কঠোর হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এসআর/এইচকে