স্টাফ কোয়ার্টারের ছাদের পলেস্তারা খসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহত

রাজধানীর গ্রিনরোডের স্টাফ কোয়ার্টারে সরকারি বরাদ্ধ পাওয়া একটি ফ্ল্যাটের ছাদের পলেস্তারা খসে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মাথায় আঘাত পাওয়া ব্যক্তি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তার মাথায় ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রিনরোড এস্টেট সরকারি কর্মচারী সমাজকেন্দ্রের সদস্য সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে ওই কর্মকর্তার ফ্ল্যাটের (১০/কে) ডাইনিং রুমের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়লে তিনি আহত হন।
সরেজমিন দেখা যায়, ওই ফ্ল্যাটের প্রতিটি কক্ষই চরম খারাপ অবস্থায় আছে। যেকোনো মুহূর্তে ধ্বসে পড়তে পারে। কলোনির পুরাতন ও জরাজীর্ণ ভবনগুলো দীর্ঘদিন ধরে মেরামত ও সংস্কার না হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
জানা গেছে, গ্রিনরোড সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে মোট ২৭টি ভবন রয়েছে। এসব ভবনে প্রায় ৫৩২ জন বসবাস করছেন। ভবনগুলোর অধিকাংশই ১৯৫৭-৫৮ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনগুলো সময়মত মেরামত ও সংস্কার না করায় সরকারি কর্মচারীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন।
স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাসরত এক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'প্রতিমাসে বাসা ভাড়া ও অন্যান্য সেবা খাতে টাকা কর্তন করা হলেও আমরা ঠিকমত সেবা পাচ্ছি না।'

এদিকে, স্টাফ কোয়ার্টারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অবিলম্বে চিহ্নিত করে নিরাপদ আবাসন গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গ্রিনরোড এস্টেট সরকারি কর্মচারী সমাজকেন্দ্রের নেতারা।
সমাজকেন্দ্রের পরিচালক আব্দুল জলিল তালুকদার বলেন, রাজধানী ঢাকার আজিমপুর, মতিঝিল, পাইকপাড়া, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নতুন ও বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলেও গ্রিনরোড সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন ও বহুতল ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই।
সমাজকেন্দ্রের সদস্য সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, চলমান কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে কলোনির ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার ও নতুন মাটি দিয়ে ভরাট করা প্রয়োজন। পাশাপাশি গ্রিনরোড এস্টেট সরকারি কর্মচারী সমাজকেন্দ্রকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এসএইচআর/জেডএস