বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করায় রাজধানীতে গ্রেফতার ৩০৩

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করায় রোববার (১ আগস্ট) রাজধানীতে ৩০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময়ে ১০৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ১০০ টাকা।
রোববার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়, বিধিনিষেধ অমান্য করায় রাজধানীতে ৩০৩ জনকে গ্রেফতার, ১০৩ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক লাখ ১৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ ১৮৩টি গাড়িকে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।
এর আগে শনিবার (৩১ জুলাই) করোনার বিধিনিষেধ অমান্য করায় রাজধানীতে ৪৮১ জনকে গ্রেফতার, ২০২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লাখ ৬ হাজার ৭১০ টাকা জরিমানা এবং ৪৪০টি গাড়িকে ডিএমপি'র ট্রাফিক বিভাগ ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
বিধিনিষেধের অষ্টম দিনে ৩০ জুলাই (শুক্রবার) ডিএমপি ৩৮১ জনকে গ্রেফতার করে, মোবাইল কোর্টে ১০৮ জনকে ৬৭ হাজার ৯৪০ টাকা জরিমানা এবং ট্রাফিক বিভাগ ৩২১টি গাড়িকে ৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এদিকে বিধিনিষেধে অকারণে ঘোরাঘুরি ও মাস্ক না পরায় সারাদেশে ১০৩ জনকে জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদের মোট ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এক বার্তায় র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং জানায়, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ কার্যকর ও জনসচেতনতা বাড়াতে দেশব্যাপী মাঠে ছিল র্যাব। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে র্যাবের নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট।
আরও জানানো হয়, আজ বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে দেশব্যাপী র্যাবের ১৭৮টি টহল ও ১৭৭টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে র্যাবের জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও র্যাব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সারাদেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। বিধিনিষেধ অমান্য করায়
দেশব্যাপী পরিচালিত ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০৩ জনকে ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়।
জেইউ/এমএসি/জেডএস