টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তির মুখোমুখির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি

দেশে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় টিকা ছাড়া বের হলে শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গতকাল যে বৈঠক হয়েছে, মূলত বেশিরভাগ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। আমিও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলাম। সেখানে আসলে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, ১৮ এর বেশি বয়সের কেউ বের হলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।
সিদ্ধান্ত যেটি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাস্ক পরার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি যাতে সবাই মানে, সেটির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। মাস্ক না পরলে যাতে ইন্সট্যান্টলি শাস্তি দেওয়া যায়, সেজন্য পুলিশের কাছে এ ধরনের...অবশ্যই বিচারিক ক্ষমতা নয়। কিন্তু পুলিশ যেমন রাস্তায় যানবাহনকে জরিমানা করে, আইনের মধ্যে থেকে কীভাবে সেটা করা যায়, সে বিষয়ে সবাই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, আগামী ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে কেন্দ্র থাকবে, আর সিটিতে থাকবে ৫/৬টি কেন্দ্র।
এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, 'টিকা নেওয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না' বলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যে সংবাদটি প্রচার হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নয়। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোথাও দেওয়া বা নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ ঘটনায় সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল কি না, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি কারো ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এ ধরনের সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এসএইচআর/জেডএস