এবার পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করবেন নাসির
অভিনেত্রী পরীমণির করা মামলায় জামিন আছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। এই মামলায় ১৫ দিন কারাগারেও ছিলেন নাসির। এবার সেই পরীমণির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (৪ আগস্ট) পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
তিনি জানান, পরীমণির বিরুদ্ধে তিনি দুটি মামলা করব। যার মধ্যে একটি মানহানির মামলা হবে। প্রস্তুতি শেষে থানায় গিয়ে মামলা করব।
পরীমণির বাসা থেকে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করেছে র্যাব। অভিযানে অংশ নেওয়া এক র্যাব কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, অভিযানে প্রথম দিকে পরীমণি র্যাবকে সহযোগিতা করেননি। তার ঘর তল্লাশি করে ফ্ল্যাটের কেবিনেট থেকে বিদেশি মদ, লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি) এবং আইস উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে তার ড্রয়িং রুমের কাভার, শো-কেস, ডাইনিং রুম, বেডরুমের সাইড টেবিল এবং টয়লেট থেকে বিপুল সংখ্যক মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া একজন জানান, পরীমণির বাসায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মদ নেই। তার কাছে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কমই আমদানি হয়।
এর আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেল ৪টার দিকে পরীমণির বাসায় অভিযানে যায় র্যাব-১ এর সদস্যরা। এসময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমণি বিষয়টি সবাইকে জানায়। তিনি বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছে।আমি ভয় পাচ্ছি।
তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতজনদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র্যাব তাদের পরিচয় দিলে ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এরপর র্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন এবং শুরু করে তল্লাশি।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বনানীর লেক ভিউ ১৯/এ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে র্যাবের অভিযানের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন এলিট ফোর্সটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় র্যাব অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
অভিযান চলাকালে পরীমণির বাসার নিচে দেখা যায়, র্যাব-১ এর একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। এছাড়া, পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িও ছিল। বাসার আশপাশে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। মূল গেটের সামনে কয়েকজন র্যাব সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযান শুরুর ৩০ মিনিট পর তার বাসায় একে একে তিন থেকে চারজন র্যাবের নারী সদস্য প্রবেশ করেন। এরপর পরীমণিকে আটকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য গত ৯ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। ১৩ জুন ফেসবুক পোস্টে ও পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি। পরে ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
পরে নাসির উদ্দিন ও অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযানের সময় বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডিবি পুলিশ।
এমএসি/ওএফ