চকলেট-ললিপপে ক্ষতিকারক রঙ ও মোম

রাজধানী চকবাজার থানাধীন এলাকার কারখানায় অবৈধভাবে ক্ষতিকারক রঙ, হাইড্রোজ ও মোম দিয়ে চকলেট, ললিপপসহ নানা ধরনের শিশুদের খাদ্যপণ্য তৈরির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআই-এর সহযোগিতায় লালবাগ কামালবাগ এলাকায় চারটি চকলেট তৈরির ফ্যাক্টরি ও শিশু খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব-৩ এর একটি দল। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
অবৈধভাবে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ক্ষতিকর রঙ, হাইড্রোজ, মোম দিয়ে শিশুখাদ্য তৈরি ও বাজারজাত করায় চার কারখানার মোট ছয় জনকে গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোম, ক্ষতিকর পাউডার ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রঙ ব্যবহারে ললিপপ, আইসক্রিমসহ বিভিন্ন শিশুখাদ্য তৈরি ও বাজারজাত করে আসছে লালবাগ এলাকার কয়েকটি নাম সর্বস্ব ফ্যাক্টরি।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সুভেল লজেন্স ফ্যাক্টরির মো. সোহেল (২৬) এবং জাহের দফাদার (৩০); কবির ফুড ফ্যাক্টরির ইয়াছিন (২২); আবীর ফুড ফ্যাক্টরির ছালাম (২৮), মালিক মো. খালেক (পলাতক) এবং শহীদ ফুড ফ্যাক্টরির মালিক মো. শহিদের (পলাতক) বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে দোষী সাব্যস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ সময় বিপুল পরিমাণ ভেজাল চকলেট এবং শিশু খাদ্য জব্দ করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভেজাল চকলেটের কালার, হাইড্রোজ, গলিত মম, পেরাছিন, বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ফ্লেভার, গ্লুকোজ, গ্রিন রঙ, চকবার ফ্লেভার, কমলা কালার রঙ ব্যবহারের মাধ্যমে চকলেট প্রস্তুত করে, যা শিশুসহ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
জেইউ/এফআর