সিলেটে করোনা রোগীদের জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করল মোমেন ফাউন্ডেশন

সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করেছে মোমেন ফাউন্ডেশন। এর মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্র করোনা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ এবং ঔষধ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া এ ডেস্ক টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করবে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কার্যক্রমে উদ্বোধন করেন।
মোমেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্বোধন করা হেল্প ডেস্কটির মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্র করোনা রোগীর জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ এবং ঔষধ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া ছাড়াও টিকা কর্মসূচীর রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে সিলেটের খাদিমপাড়া হাসপাতাল, বক্ষব্যধি হাসপাতাল ও দক্ষিণ সুরমা হাসপাতালে ৪৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও দুটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর প্রদান করে সংস্থাটি।
এ সময় করোনা মোকাবিলায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সিলেটের ডাক্তার ও নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।
মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন বলেন, মানুষের জন্য কাজ করার জন্য মোমেন ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সংস্থা সবসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসিরউদ্দীন খান ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বক্তব্য করেন।

মোমেন ফাউন্ডেশন জানায়, গত এপ্রিলে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থা ইতোমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ প্রায় আট হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। মোমেন ফাউন্ডেশন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সদের মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করেছে।
সংস্থাটি করোনা ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের নার্স এবং ডাক্তারদের কাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইফতার ও ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করে। এছাড়া মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাজে সহায়তার জন্য দাফনকারীদের পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, সংস্থাটির উদ্যোগে কম্পিউটার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে ৫০ জন যুবক-যুবতীকে বিনামূল্যে কম্পিউটার আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এনআই/ওএফ