অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলের শ্রমিক-কর্মচারীদের টিকা প্রদানের দাবি

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীদের টিকা প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মধ্য রাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়েও রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা টিকা দিতে পারছেন না। অথচ করোনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীদের মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন লাকসাম লোকোসেডের সাবেক ইনচার্জ কাজী মিজানুর রহমান,পাকশী মেকানিক্যাল ক্যারেজের অ্যাটেনডেন্ট সোহরাব হোসেন। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকোরানিং স্টাফ শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বিভাগীয় ডিপিও ঢাকা দফতরের পিয়ন জমাদার মোসলেম উদ্দিন, রেল শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি চট্টগ্রাম সিপিও দপ্তরের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, ঢাকা ডিপিও দপ্তরের প্রধান অফিস সহকারী আব্দুল লতিফসহ রেলের অনেক শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস।
রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের মৃত্যুঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের টিকার আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যসহ টিকা প্রার্থীর সংখ্যা কয়েক লাখ হলেও এ পর্যন্ত ১০ হাজার জনকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে কি না তা নিয়েও আমরা সন্দিহান। একটি রেল স্টেশনে বা একটি ট্রেনে যদি একজনও করোনা আক্রান্ত স্টাফ বা যাত্রী থাকেন তাহলে তার মাধ্যমে সারা দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের স্বার্থেই জরুরি ভিত্তিতে রেলের শ্রমিক-কর্মচারীদের করোনা টিকার আওতায় আনা জরুরি।
এতে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিলেও অসচেতনতার ফলে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা সম্ভব হয় না। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন লাকসাম স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার স্টেশন মাস্টার রিফাতুল ইসলাম, পাকশী ডিভিশনের এ.এল.এম. শিকদার জুলফিকার আল মামুন, লালমনিরহাটর ডিভিশনের (এস.এস.এ.ই) আই.সি-লোকো মো. কাজী সুমন, ঢাকা ডিভিশনের সহকারি বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম খান সাজ্জাদসহ রেলওয়ের শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী। এর মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা নির্বিঘ্নভাবে যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলওয়ের বর্তমান ও সাবেক শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের টিকার আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এএসএস/এনএফ