পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে অবহেলার সুযোগ নেই

বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা উদ্বেগজনক। যে হারে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বাড়ছে, একই হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে না। পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অবহেলার সুযোগ নেই। বিশেষ করে সারা বিশ্ব এখন নিরাপদ, পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত খাদ্যের সংস্থান করতে পারছে না। ফলে আফ্রিকা এবং এশিয়ায় কিছু দেশে অপুষ্টি, ক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ মারা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ভিএসও এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে অনেক সফল হয়েছে। বর্তমান সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সরকারকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সম্ভাবনাময় ৪০ শতাংশ যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, যুব জনগোষ্ঠীর সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। যেন তারা স্বল্প খরচে অধিক নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে পারে। যা যুবকদের কৃষিতে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় নানা বিপর্যয় দেখেছি। তার থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। দেশে ৫ কোটি যুব শ্রেণি রয়েছে। তারা এখন দেশের হাল ধরছে। যদিও এদের মধ্যে অনেকেই এখনও বেকার রয়েছেন। যেটা আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, অনেক কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষকের মুনাফা নিয়ে নেয়। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, না এলে এই ঝুঁকি থেকেই যাবে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবক ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একাডেমি ফ্যাকাল্টি এবং গবেষক তৌহিদুল ইসলাম ও ভিএসও বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান।
ভিএসও বাংলাদেশের প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন লিড মো. খাবিরুল হক কামালের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন, ঢাকা ফুড সিস্টেম, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন বাংলাদেশের প্রতিনিধি চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর জন টেইলর, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. এম এইচ চৌধুরী (লেনিন), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ইনক্লুসিভ কমনিটিস অ্যান্ড আর্টস ডাইরেক্টর ড. শাহনাজ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ফিল্ড সার্ভিস উইং পরিচালক একেএম মনিরুল আলম প্রমুখ।
এএসএস/এসকেডি