আলো নিভে গেল একটি পরিবারের

৭ জানুয়ারি, ২০২১। এ তারিখটা কোনোদিন আর ভুলবে না আনুশকা নূর আমিনের পরিবার। ক্যালেন্ডারের পাতায় এ তারিখ ঘুরে আবার এলেও আর কখনও ফিরবে না আনুশকা নামের মেয়েটি; যাকে ঘিরে এগিয়ে যাচ্ছিল গোটা একটি পরিবারের স্বপ্ন।
আনুশকার পরিবারের সমস্ত স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেছে, অথচ আগের রাতেও সব কিছু কী স্বাভাবিক ছিল। মায়ের সাথে তার কথা হলো খাওয়া-দাওয়া নিয়ে, পড়াশোনা নিয়ে। মেয়ে মাকে বললো, পড়াশোনার খুব চাপ যাচ্ছে, অনেক পড়ছি, তাও মনে রাখতে পারছি না। মা মেয়েকে বললেন, ‘খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করলে পড়া মনে থাকবে।’
মা-মেয়ের খানিক খুনসুটিও হয়েছিল ওইরাতে, খাবারের প্রসঙ্গ নিয়েই। ভাই-বোন আর বাবা-মায়ের সাথে একসঙ্গে ডাইনিং টেবিলে রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন আনুশকা। কিন্তু খেতে ইচ্ছে হয়নি তার। এতে মা যখন খাওয়ার কথা বলেছিলেন, আনুশকা তাকে বলেছিলেন, ‘তুমিও তো ঠিক মতো খেতে না ছোটকালে, আর আমাকে বলছো? আমি নানুর কাছে শুনেছি, তুমিও খাওয়া-দাওয়া করতে চাইতে না। আমি তোমার চেয়ে বেশিই খাই।’
আনুশকার ঘর, বই, বিছানা, জামা-কাপড়ের মতো এসব এখন স্রেফ স্মৃতি হয়ে আছে তার মায়ের কাছে। সেই স্মৃতির ভাণ্ডার থেকে ঢাকা পোস্টের কাছে কিছুটা বলেছেন সদ্য মেয়েকে পরপারে বিদায় জানানো মা। বলতে গিয়ে বলেছেন কম, কেঁদেছেন বেশি। চেয়েছেন বিচার, করেছেন অভিযোগ।
মা জানেন তার মেয়েটা আর ফিরবে না। তবে এ জানা স্রেফ শারীরিক। মনে মনে হয়তো তিনি এখনও মেয়ের অপেক্ষাতে আছেন। আর সে কারণেই তিনি আনুশকার ঘরটি এখনও গুছিয়ে রেখেছেন টিপটপ, পরিপাটি করে।
ধানমন্ডি ১৩ নম্বরে আনুশকাদের ৩ বেডরুমের বাসাটিতে ঢুকলে আনুশকার স্মৃতির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। বাসাতে ঢুকেই পশ্চিমের ঘরটিতে থাকতেন আনুশকা। সেখানে টেবিলের ওপর সাজানো রয়েছে হোমওয়ার্কের খাতাগুলো। গোছানো বিছানা দেখে মনে হচ্ছিল, যখন-তখন ক্লান্ত আনুশকা ঘরে ফিরে শরীরটা এলিয়ে দেবে এই বিছানায়।
মেয়ের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা পোস্টের সাথে কথা বলেছেন আনুশকার মা শাহনূর আমিন। ৫৩ মিনিট কথা বলেছেন তিনি, বেশিরভাগই কেঁদেছেন, যতটুকু কাঁদেননি সে সময়টুকুও চোখ ভেজাই ছিল।
শাহনূর আমিন বলছেন, ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে বড় করেছিলেন, মুহূর্তেই এক ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল তাদের সব স্বপ্ন।
সেদিন সকালে মেয়ের সঙ্গে শেষ দেখাটা কেমন ছিল?
আনুশকার মা জানালেন, রুমে ছোট বোনের সাথে একসঙ্গে ঘুমাতো আনুশকা। ৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে আমি তাদের রুমে গিয়ে গায়ে কম্বল দিয়ে আসি। বলে আসি যাতে সময় মতো নাস্তা খেয়ে নেয়। এরপর বাসা থেকে বের হয়ে যাই। প্রতিদিন এভাবেই যাই। নাস্তা রেডি করে অফিস যাওয়ার আগে একবার তাদের রুমে যাই। এরপর দুপুর ১২টার দিকে আনুশকার সঙ্গে একবার ফোনে কথা হয়েছিল। লেখাপড়া সংক্রান্ত কাজে বাইরে যাওয়ার কথা বলেছিল আনুশকা।
কে জানতো পৃথিবীর কোথাও তখন কী চক্রান্ত চলছে যার কারণে এটাই হচ্ছে মা-মেয়ের শেষ কথা। সকালে মেয়েকে যখন ঘুমুতে দেখে এসেছিলেন মা, সেটাই ছিল শেষ দেখা।
এরপর এলো সর্বনাশা সেই ফোন...
দুপুর তখন ১টা ১৮ মিনিট। শাহনূর আমিনের মোবাইলে আসে আকস্মিক একটি কল। ওপারে ছিল আনুশকার মৃত্যুতে অভিযুক্ত যুবক ইফতেখার ফারদিন দিহান। সে বলে, ‘আন্টি আমি দিহান।’ আমি বললাম, দিহান কে?। বললো, ‘আন্টি আমি আনুশকার সাথে ছিলাম, ও সেন্সলেস হয়ে গেছে। আন্টি তাড়াতাড়ি আসেন। আমরা আনোয়ার খান হাসপাতালে।’
আমি দিহানকে বলি, আনুশকাকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে। সে বলে, ‘আমরা ইমার্জেন্সিতেই আছি।’ আনুশকার মা বলেন, দিহানের ফোন পেয়ে আমি সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে রওনা হই। পথে কয়েকবার আমি দিহানকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাই। একবার ফোন অন হয়েছিল। তখন ফোন রিসিভ করতেই সে আমাকে বলে, ‘আনুশকার শরীর ভালো না, দ্রুত আসুন।’ এরপর আবার তাকে ফোন দেই, তার ফোন বন্ধ ছিল।
‘সিএনজি যখন সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে তখন আমি আবার ফোন দিলাম দিহানকে। তখন সে বললো, আন্টি ও মারা গেছে।’
হাসপাতালে ঢুকতেই...
সকালে সুস্থ মেয়েকে ঘরে রেখে বের হওয়া মা হঠাত মেয়ের মৃত্যু সংবাদে তখন পাগলপ্রায়। ছুটছেন হাসপাতালে। শাহনূর আমিন বললেন, আমি আনোয়ার খান হাসপাতালের গেটের মধ্যে ঢুকতেই আমার পা জড়িয়ে ধরলো দিহান। বললো, আন্টি আমাকে বাঁচান।
তখন আমি সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আনুশকাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলো কে? সবাই বললো, ‘দিহান’। তখন আমি দিহানের সামনে গিয়ে বলি, ‘তুমি কি দিহান?’ সে বললো, ‘হ্যাঁ।’ আমি বলি, তুমি আমার মেয়েকে কোথায় পেলে? আমার মেয়ে তোমাদের সাথে কেন।’ দিহান উত্তর দেয়, ‘আন্টি আনুশকাকে আমরা আমার বাসায় নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা চারজন ছিলাম। আমার বাসায় কেউ ছিল না, বাসা ফাঁকা ছিল।
আনুশকার মায়ের ভাষ্য, হাসপাতালে দিহানসহ তার ৩ বন্ধুর সবাই বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। ওদের দেখেই তার মনে হয়েছিল এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ওরা ওখান থেকে পালিয়ে যেতো, তবে ৭-৮ জন পুলিশ আগে থেকেই তাদের ঘিরে রেখেছিলেন।
৯৯’ থেকে স্বপ্নের শুরু...
আনুশকার বাবা-মায়ের বিয়ে হয় ১৯৯৯ সালে। এরপরই প্রথম গর্ভে আসে আনুশকা। বিয়ের পর সংসার নিয়ে, মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনেছিলেন তারা। শাহনূর আমিন বলেন, ‘আমার পরিবারকে একদমই শেষ করে দিল দিহান। পুরাটাই অন্ধকার করে ফেললো। সব তছনছ করে দিল। সন্তানকে দিয়েই আমাদের স্বপ্নের শুরু ছিল। ওকে ছোট থেকে ও-লেভেল পর্যন্ত পড়ালাম, এখন আমাদের সুখের দিন আসার কথা, এক ক্রাইম করে সবই তছনছ করে দিল।
মায়ের চোখে ছোট্ট আনুশকা
মেয়ের শৈশবের বিষয়ে বলতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আনুশকার মা বললেন, ‘আনুশকা ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত দায়িত্বশীল ছিল। লক্ষ্মী একটা মেয়ে ছিল। নিজেই ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার জন্য আমাদের ডাকতো। স্কুল থেকে এসে ড্রেস পড়া অবস্থায় হোমওয়ার্ক করতো। রেজাল্ট ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো ছিল। ওকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল আমার। ভাইবোনের মধ্যে সে সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট ছিল।
ভাই ও ছোট বোনলে অনেক ভালবাসতো সে। তাদের সাথে অনেক সময় কাটাতো। আনুশকার মৃত্যুর পর ছেলেটাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ছোট মেয়েটাতো তার সঙ্গেই ঘুমাতো।
বিরিয়ানি পছন্দ ছিল মেয়েটার
আনুশকার অনেক স্মৃতি, কোনটা ছেড়ে কোনটা হাতড়াবেন মা। এর মধ্যে থেকেই এক টুকরো স্মৃতি কুড়িয়ে বললেন, আনুশকা বিরিয়ানি অনেক পছন্দ করতো। সুলতান’স ডাইনের বিরিয়ানি। মাঝে মাঝেই বলতো, মা সুলতান’স ডাইনের বিরিয়ানি খাই না কতদিন! সে তার বাবার মতো হালকা রঙের জামা পড়তে পছন্দ করতো। মার্জিত জামা পড়তো। মন দিয়ে পড়াশোনা করতো। মাঝে মাঝে যখন পড়ায় দীর্ঘক্ষণ মগ্ন থাকত, পড়া শেষ করেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে দৌড়ে চলে আসতো। আমাদের জড়িয়ে ধরতো।
আনুশকার মা আরও বললেন, লকডাউনের কারণে যখন বাইরে যাওয়া বন্ধ ছিল তখন পুরোটা সময়ই পরিবারের সবাই আমরা একসঙ্গেই ছিলাম। একসাথে রোজা রাখতাম, ইফতার করতাম, তারারি পড়তাম। বাসায় ওর বাবা নামাজ পড়াতো। উনি প্রথম লাইনে দাড়িয়ে ইমামতি করতেন। আমি ও আমার সন্তানরা পেছনে দাঁড়িয়ে তার সাথে নামাজ পড়তাম। আমরা সবসময়ই তাকে সময় দিতাম। আমাদের মধ্যে কোনো গ্যাপই ছিল না। একাকীত্বের কোনো সুযোগ ছিল না। কেউ না কেউ সবসময়ই তাদের সাথে ছিল।
‘আনুশকা কখনো স্বেচ্ছায় দিহানের বাসায় যাবে না’
সেদিন আসলে ঠিক কী হয়েছিল? আনুশকা দিহানের বাসায় কেন গিয়েছিল? দিহানের সঙ্গে আনুশকার সম্পর্ক কী ছিল? এসব নানা প্রশ্ন ঘুরছে ফেসবুকে। উত্তরও দিচ্ছেন যে যার যার মতো। এগুলো কাঁটার মতো বিধছে আনুশকার পরিবারে। আনুশকার মা বলছেন, দিহানের পরিবার থেকে বিভিন্ন অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। আমার মেয়ে সম্পর্কে মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে, চরিত্র হননের চেষ্টা চলছে। এটা আসলে ঠিক না, আমার মেয়েকে আমি ছোটবেলা থেকে বড় করেছি। তার সম্পর্কে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সবাই জানে। সবার মুখে একই কথা দিহানের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। আনুশকা কখনো স্বেচ্ছায় দিহানের বাসায় যাবে না। তাকে ট্র্যাপে ফেলে বা যেভাবে হোক সেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রথমদিকে মামলাটা যেভাবে করার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। এখন পুলিশের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান। তারা তাদের মতো তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করবেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমরা যেন সুষ্ঠু বিচার পাই। আমরা চাই না যে নিরপরাধ কেউ এখানে পড়ুক।
দিহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না আনুশকার?
আনুশকার মায়ের দাবি, না, ছিল না। দিহানের সঙ্গে আনুশকার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একথা একেবারেই সত্য না। তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকলে মা হিসেবে একবার হলেও আমার সাথে শেয়ার করতো। আনুশকা ওই ধরনের মেয়েই না। নিজেদের অপরাধ হালকা করার জন্য তারা এগুলো বলে যাচ্ছে। তারা খোলা চিঠি পাঠিয়ে আমার মেয়ের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। একটা প্রভাবশালী মহল তাদের ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করছে। যেই ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের নাম-ঠিকানা আছে আমাদের কাছে। কিন্তু তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি আমাদের। তারাও জড়িত বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, হাসপাতালে আমি দিহানসহ ৪ জনকেই দেখেছি, তারা অবশ্যই জড়িত। তাদের সাথে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। তাদের রিমান্ডে নিলেই বেরিয়ে আসবে। অথচ তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আমার চাওয়া প্রথমদিকে তাদের নাম উল্লেখ করার পরেও মামলায় দেওয়া হয়নি, আটকে রেখেছিল পুলিশ। তাদের ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল না। তবে পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। আমি চাই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। পুলিশ গতকাল আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে প্রয়োজনে আবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আর পুলিশের ওপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস আছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনুশকার বিষয়ে অপপ্রচারগুলোর বিরুদ্ধে আমরা পুলিশের সাথে আলাপ করেছি, তারা একটি জিডি করতে বলেছে। যারা যারা মিডিয়াতে তার ছবি দিয়ে অপপ্রচার করছে এগুলো নিয়ে আমরা জিডি করবো।
সব তছনছের সেই সময়টা
গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তাকে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায়। নিয়ে গিয়েছিলেন ইফতেখার ফারদিন দিহান নামে এক যুবক। পরবর্তীতে জানা যায়, আনুশকা দিহানের বাসাতেই ছিলেন। সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় দিহান ও তার তিন বন্ধুকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার দিন রাতে কালবাগান থানায় দিহানকে আসামি করে মামলা করেন আনুশকার বাবা মো. আল আমিন। আনুশকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় মামলাটি করা হয়। পরদিন ৮ জানুয়ারি দিহানকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওইদিন বিকেলে আনুশকার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেসনিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আনুশকার মৃত্যু হয়েছে। তার যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ দুই দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ময়নাতদন্তে দেহের দুই অংশেই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ধস্তাধস্তির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। ঘটনাস্থলে একাধিক ব্যক্তি ছিল। তাদের ডিএনএ নমুনা এবং ভিসেরাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় শুক্রবার রাতে দিহানের তিন বন্ধুকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এমএসি/এআর/এনএফ

