পৌর নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৩২৯০ প্রার্থী

চতুর্থ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে তিন হাজার ২৯০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৮৭ জন মেয়র পদে, কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩৩৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ৬৬৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ শাখার যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, চতুর্থ ধাপের নির্বাচন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এদিন একযোগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ৫৮ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইসি চতুর্থ ধাপের জন্য প্রথেমে ৫৬ পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু স্থগিত হওয়া আরও দুটি পৌরসভা যুক্ত হওয়ায় মোট ৫৮ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রোববার (১৭ জানুয়ারি) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ২৬ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৩১ পৌরসভায় ইভিএম ও ২৭ পৌরসভায় ব্যালটে ভোট হবে।
চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হওয়া পৌরসভাগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও সদর ও রানীশংকৈল, রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী ও তাহেরপুর, লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম, নরসিংদী সদর ও মাধবদী, রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ, বরিশালের মুলাদী ও বানারীপাড়া, শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাটোর সদর ও বড়াইগ্রাম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, বান্দরবান সদর, বাগেরহাট সদর, সাতক্ষীরা সদর, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, কুমিল্লার হোমনা ও দাউদকান্দি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, হোসেনপুর ও করিমগঞ্জ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও কালিহাতী, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা, ফেনীর পরশুরাম, চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, মাদারীপুরের কালকিনি, নেত্রকোনা সদর, যশোরের চৌগাছা ও বাঘারপাড়া, রাঙামাটি সদর, মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, জামালপুরের মেলান্দহ, ময়মনসিংহের ফুলপুর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ও কালাই, নোয়াখালীর চাটখিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ফরিদপুরের নগরকান্দা এবং সিলেটের কানাইঘাট।
এছাড়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় চতুর্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, দেশে মোট ৩২৯ পৌরসভা রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করছে কমিশন। প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয় ১৬ জানুয়ারি। এর মধ্যে ২৯ পৌরসভায় ইভিএম ও ৩১ পৌরসভায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের মৃত্যুর কারণে নীলফামারী জেরার সৈয়দপুর পৌরসভার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ফলে দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়।
আর তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ৩০ জানুয়ারি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেসময় ২০টি দল পৌর ভোটে অংশ নেয়।
এসআর/ওএফ