অবৈধ সম্পদের অভিযোগ: কাউন্সিলর শফিকুলকে নোটিশ

গোল্ডেন মনিরের সম্পৃক্ততা ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ওরফে সোনা শফিকের নামে সম্পদের নোটিশ ইস্যু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে তাকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত নোটিশে শফিকুলের নিজের এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তাতে বলা হয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর ডিএনসিসি ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ওরফে সোনা শফিককে একই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. শামছুল আলম।
গত ২৬ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল অর্থ, অস্ত্র-মদ ও সোনাসহ গ্রেপ্তার গোল্ডেন মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে গোল্ডেন মনিরের ৬১০ কোটি টাকা ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এরইমধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক। এছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর ৩ কোটি ১০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অন্য মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।
মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাড়িতে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার হয়।
এক সময় কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান মনির এখন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক বলে অভিযোগ রয়েছে। এরইমধ্যে মনিরের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ২৬টি প্লট ও অস্থাবর সম্পদসহ ৬১০ কোটি টাকার তথ্য দুদকের হাতে। এছাড়া প্রাথমিক অনুসন্ধানে আরও অনেক সম্পদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা অর্থের তথ্য রয়েছে। যা দুদক যাচাই-বাছাই করছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানা গেছে।
আরএম/জেডএস