ইউরোপে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভুয়া ভিসা দিত চক্রটি

জনশক্তি কর্মসংস্থানের অনুমতি ছাড়াই জাল ভিসা দিয়ে ইউরোপে লোক পাঠাচ্ছিল একটি চক্র। সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এসব তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) অভিযান রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আব্দুল আলিম (৪৫) ও কবির আহম্মেদ (৫২)।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের রিপাবলিকসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে লোক সংগ্রহ করত। চক্রটির মূলহোতা পর্তুগালে অবস্থান করে লোকজনকে ভুয়া কাগজপত্র পাঠাতো।
তিনি বলেন, চক্রটি জনশক্তি কর্মসংস্থানের অনুমোদন ছাড়াই এ কাজগুলো করত। এমনকি তাদের কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি বা লাইসেন্স নেই। তারা চাকরির ভিসায় চেক রিপাবলিকসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নেওয়ার কথা বলে প্রথমে ভারত নিয়ে যেত। পরে ভারতে নেওয়ার পর লোকজনদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, ডলার ও রুপি নিয়ে যেত।
‘ভারতে যাওয়ার পর সেখানে আরেক চক্র তাদের ভিসা ইউন্টারভিউয়ের বিভিন্ন তারিখের কথা বলে ঘুরাত। পরে ভুক্তভোগীরা প্রতারিত হচ্ছে বুঝতে পেরে চেক রিপাবলিক অ্যাম্বাসিতে যোগাযোগ করতে জানতে পারেন, তারা কোনো ভিসা দিচ্ছে না।’
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলমান আছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এমএসি/এমএইচএস