রামপুরায় ফ্লাট থেকে গৃহবধূর গলিত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর পূর্ব রামপুরার জামতলা থেকে লামিয়া আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার স্বামী হৃদয় ফকির (২২) পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে বিকেল পৌনে ৫টায় তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ১৩৮/৪/৫/এ নম্বর বাসার চতুর্থ তলায় যাই। সেখানে ঘরের দরজা বন্ধ পাই। ভেতর থেকে মরদেহের গন্ধ আসায় পাশের ফ্লাটের লোকজন আমাদের খবর দেয়। দরজা ভেঙে ভেতর ঢুকে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ওই নারী ঝুলছে। তার দেহ পঁচে গেছে। গন্ধে কাছে যাওয়া যায় না। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, নিহতের স্বামী হৃদয় পলাতক। মাস ৩-৪ আগে হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে তাদের বিয়ে হয়। হৃদয় একটি গ্যারেজে ডেন্ট-পেইন্টের কাজ করত। মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে ৩-৪ দিন আগে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তারা দুজনে একই নম্বর ব্যবহার করত। মরদেহটির কিছু দূরেই তার মোবাইল পড়ে ছিল। তার স্বামী হৃদয়কে গ্রেফতার করলেই আসল ঘটনা জানা যাবে।
নিহতের দুলাভাই নুরুজ্জামান মৃধা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্ত্রীর বড় বোন সোমবার ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকায় আসে। পরে রাত হয়ে গেলে লামিয়াকে ফোন দিলে সে ফোন ধরে না। অনেকবার ফোন দেওয়া হয় কিন্তু ফোন ধরে না। আজ খবর পেলাম তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার স্বামী হৃদয়ও পলাতক রয়েছে। কয়েক মাস আগে তারা বিয়ে করেছে।
তিনি আরও জানান, আমার শ্বশুর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার খোরখোলা গ্রামে। শ্বশুরের নাম শেখ মোমেদ। লামিয়ার বড় বোন মাকসুদা আক্তার বাদী হয়ে রামপুরা থানার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসএএ/জেডএস