গণপূর্তের খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হবে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। খালের দুই পাড়ে বাঁধ নির্মাণ করে ওয়াক ওয়ে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা খালগুলো শিগগিরই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) কাউন্সিল হলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা : সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জোন ভিত্তিক ইউটিলিটির দাম নির্ধারণ করতে হবে। কেননা গুলশানে থাকা ব্যক্তি এবং যাত্রাবাড়ী থাকা ব্যক্তির জীবন যাপনের মান এক রকম নয়। সে হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম নির্ধারণ করতে হবে। রাজধানী ঢাকাসহ সকল নগর-মহানগর এমনকি গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকাকে আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরিত করতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বাংলার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তার কবর থাকবে টুঙ্গিপাড়ায় আর পাকিস্তানিদের দোসর যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ৩০ লক্ষ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে, তাদের কবর জাতীয় সংসদসহ গৌরবোজ্জ্বল জায়গায় থাকতে পারে না। এগুলো আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে।
সেমিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম,
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার প্রমুখ।
এএসএস/এসকেডি