দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটের তফসিল হতে পারে বুধবার

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদের শূন্য আসন ও নির্বাচন উপযোগী স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য ভোট শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুয়ায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সম্পন্ন করেছে ইসি। করোনা মহামারির ফলে প্রথম ধাপে স্থগিত থাকা ১৬০টি ইউপি ৯টি পৌরসভায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোট হয়েছে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের ৮৬তম সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় অন্য চার কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন সচিব, ইসির অতিরিক্ত সচিব, এনআইডি ডিজি, আইডিএ প্রকল্প পরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
কমিশনের সভায় একাদশ জাতীয় সংসদের ৬৭ সিরাজগঞ্জ-৬ এর শূন্য আসনের নির্বাচন, একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৪৫ মহিলা আসন-৪৫ এর শূন্য আসনের নির্বাচন, সপ্তম ধাপের পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ এর সাধারণ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শূন্য আসনের উপনির্বাচন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনের ৮৬তম সভার বিষয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, উপনির্বাচন, সপ্তম ধাপের পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে চলতি মাসের শেষের দিকে কমিশন সভা বসবে। ওই কমিশন সভা থেকেই স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯-এর ২৯ (৩) এ বলা আছে, পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ চলতি মাসের ২১ মার্চের আগেই প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচন আয়োজন সম্পন্ন করার কথা ছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় যথাসময়ে ভোট হচ্ছে না। এজন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ২৯ (৫) ধারা প্রয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
এ ধারায় বলা আছে, দৈব-দুর্বিপাক জনিত বা অন্যবিধ কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা প্রদান করতে পারবে।
ইসি জানায়, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৫৫টি ইউপি নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছিল। বর্তমানে চার হাজার ৫৭১টি ইউপির মধ্যে চার হাজার ১০০টির মতো ইউপিতে ভোট করা যাবে। ২০০ ইউপিতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এরইমধ্যে ৯ বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চলতি ২০২১ সালেই দশম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসআর/আরএইচ