প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

‘সেলিম খানের আয়ের তথ্য যাচাই : সাড়া দেননি দুই আড়ত মালিক’ শিরোনামে গত ২২ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শাপলা মিডিয়া নামের প্রযোজনা সংস্থার মালিক মো. সেলিম খান।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মো. সেলিম খানের পক্ষে এ সংক্রান্ত প্রতিবাদলিপি পাঠান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী মো. খায়রুল হাসান। সেখানে বলা হয়, ‘প্রকাশিত সংবাদে সেলিম খানের আয়কর বিবরণীতে পারিবারিক ব্যয়ের হিসাব বাবদ ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা ও ঋণসহ আয় ৬১ লাখ ৭২ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। সংবাদে তা কোন অর্থবছরের আয়কর বিবরণীতে পাওয়া গেছে সেটা উল্লেখ করা হয়নি।
‘এছাড়া সেলিম খানের নামে ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৫ টাকার সম্পদ; জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ির আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৪০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এটা কোন অর্থবছরের হিসাব, কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেলিম খানের গাড়ি, ড্রেজার, শটগান, স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য বাবদ তিন কোটি তিন লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা এবং ব্যবসায়িক মূলধন দুই কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ২৪৫ টাকা এবং মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ পাঁচ কোটি ৫০ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৫ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। হিসাবগুলো ভুলে ভরা ও বিভ্রান্তিকর। এগুলো কবেকার তাও উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে বিভিন্ন নথিপত্রে এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
প্রতিবাদলিপিতে ‘সেলিম খান একজন সফল ব্যবসায়ী’ দাবি করে বলা হয়, তিনি বিগত করবর্ষে জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং তার সব সম্পদের হিসাব যথাযথভাবে আয়কর প্রদানপূর্বক আয়কর বিবরণীতে যথা নিয়মে উল্লেখ আছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে তদন্ত চলা অবস্থায় বেআইনিভাবে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সূত্রে ভুল ও কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যা অত্যন্ত মানহানিকর।
এমএআর/
