অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, বাড়তে পারে বৃষ্টি
চলতি অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টির পাশাপাশি একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে। মাসের শেষ দিকে বিদায় নিতে পারে বর্ষা।
একমাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রোববার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুছ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কবে নাগাদ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে তা এখনো সুস্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কী প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়তে পারে তার তথ্যও এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। লঘুচাপটি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে। এর ফলে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বিভিন্ন দেশে প্রভাব ফেলতে পারে।
সভায় বৃষ্টিপাতের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধু খুলনা ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
বৈঠকে আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশে বেশিদিন বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা নেই। চলতি মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অক্টোবর মাসের আগাম পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, এ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই সঙ্গে এ তিনটি লঘুচাপের একটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে।
নদীর অবস্থায় বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। কৃষি আবহাওয়ায় বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ৩.০ থেকে ৪.০ মি.মি. এবং গড় সূর্য কিরণকাল ৪.৫ থেকে ৫.৫ ঘণ্টা থাকতে পারে।
এদিকে সোমবার আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
একে/জেডএস