পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
পদ্মায় ঘন কুয়াশার কারণে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে নৌরুট পারাপারে অপেক্ষমাণ যানবাহনগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী পারাপার শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাত আড়াইটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে পাটুরিয়াঘাট থেকে ৪টি ফেরি দৌলতদিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নদী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। ঘন কুয়াশায় ফেরির দিকনির্দেশনামূলক বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এ কারণে নৌরুটে সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট কয়েক শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে নৌরুট পারাপারে অপেক্ষমাণ যানবাহনগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী পারাপার শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া জিরোপয়েন্ট থেকে আরসিএন মোড় ক্রস করেছে দূরপাল্লার পরিবহন বাসের দীর্ঘ সারি। রাতভর বাসের ভেতরে বসে থেকে অস্বস্তিবোধ করছেন বাসের অনেক যাত্রী। অনেকে আবার বাস থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি করছেন।
কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানোর অপেক্ষা যেন বেলা বাড়ার সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। শিশু বাচ্চা নিয়ে পরিবহন বাসের অনেক নারী যাত্রীরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। কেননা পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভালোমানের নেই কোনো শৌচাগার।
অপক্ষোরত যাত্রীরা বলেন, শীতের সময় নদীতে ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকে, বর্ষায় পদ্মায় প্রবল স্রোত, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে নাব্যতা সংকট। পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পদে পদে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঘাট এলাকার পরিবেশ ভালো না, নেই মানসম্মত খাবার হোটেল। এ ছাড়া পুরুষ ও নারী যাত্রীদের জন্য নেই ভালোমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।
এমএসআর
