এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ১৯৭৩ সালে ৭৩ দিন শিক্ষক আন্দোলন হয়। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই সময় বঙ্গবন্ধু এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বেতন ১৫০ টাকার উন্নীতকরণসহ চালু করেন রেশনিং ব্যবস্থা। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে দেবো। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আর এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি পূরণ হয়নি। তবে বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে আরও ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। তাছাড়া বর্তমান সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৮ সালের জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা প্রদান করে আসছে।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাকে বর্তমানে জাতীয়করণ করতে লাগবে ২৫ শতাংশ ভাতাকে শতভাগে উন্নীতকরণ, জাতীয় বেতন ডেগ ভিত্তিক ৪৫-৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং ৫০০ টাকার মাসিক চিকিৎসা ভাতাকে মাসিক ১৫০০ টাকায় উন্নীতকরণ। এই খাতগুলোতে সরকারের বার্ষিক টাকা লাগবে সর্বোচ্চ ২ হাজার কোটি ঢাকা। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে প্রতি অর্থ বছরের আয় হবে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। ফলে বছরে বেতন খাতে জাতীয়করণ করা শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ সরকারকে দিতে হবে না।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে বর্তমান সরকারের একটি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। এ সিদ্ধান্ত একমাত্র বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই নেওয়া সম্ভব।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাজোটর সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহম্মদ। অন্যান্যদের ছিলেন মধ্যে সদস্য শাহ্ আলম, তালুকদার আব্দুল মন্নাফ, মো. আফজলুর রশিদ, অধ্যক্ষ আফজল হোসেন, বেনী মাধব দেবনাথ প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস