দ্বিতীয় দিনে মিরপুরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল ডিএনসিসি

রাজধানীর মিরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান অব্যাহত রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর-১১ এর এভিনিউ-৩ এর ৪ নম্বর সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযানে ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রায় চার শতাধিক স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এদিন অভিযান ঘিরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযানস্থলে উপস্থিত থেকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে গত ৪৯ বছর ধরে রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের হাতে ছিল। অনেক চেষ্টার পরেও দখলমুক্ত করা যায়নি। দখলমুক্ত হওয়া সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরার দিকে যাওয়ার জন্য একটিমাত্র সড়ক ছিল, কালশী সড়ক। কালশীর সাথে সাথে এখানে আরেকটি প্যারালাল রোড হতে যাচ্ছে। এটি সর্বোচ্চ ৭৫ ফিট ও সর্বনিম্ন ৬০ ফুট চওড়া হবে। উচ্ছেদ শেষে আমরা এখানে মার্কিং করে দেব। মিরপুর-১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে এটি দুই কিলোমিটার সড়ক হবে। শনিবারও (২৩ জানুয়ারি) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।

মেয়র আরও বলেন, এখন সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতি ও অবৈধ দখলদারদের জন্য জিরো টলারেন্স। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ঢাকা শহর উপহার দেওয়ার জন্য, নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য, যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।

দখলদারদের হুঁশিয়ার দিয়ে মেয়র বলেন, যারা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে আছেন, তারা দয়া করে নিজেরা সরে যান। তাদের আমি কোনও ধরনের নোটিশ দেব না। আমি যাব ও অবৈধ দখল ভেঙ্গে দেব।

উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/ওএফ