চালের এলসি খোলার সময়সীমা বাড়ল

বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ প্রতিষ্ঠান থেকে এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ৩১ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বেসরকারি পর্যায়ে ৩ জানুয়ারি ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন, ৪ জানুয়ারি ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন, ৫ জানুয়ারি ৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, ৬ জানুয়ারি ৪৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫শ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি ৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫শ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৭২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ১৩ জানুয়ারি ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬ হাজার ৫শ মেট্রিক টন, ১৭ জানুয়ারি ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৯১ হাজার মেট্রিক টন মিলে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫শ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য বরাদ্দসহ অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
বরাদ্দপত্র ইস্যুর ৭ দিনের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে জানিয়ে বিবরণীতে বলা হয়, ৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদেরকে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল এবং ১০-১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদেরকে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ৩০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতারোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ চলতি বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছিল।
খাদ্য মজুত ৭ লাখ টন, আমদানির সিদ্ধান্ত ১৪ লাখ টন
গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের আলী আজমের টেবিলে উত্থাপিত এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন। অভ্যন্তরীণভাবে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় খাদ্যশস্য সংগ্রহ না হওয়ায় সরকার ১৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসএইচআর/জেডএস