কুমিল্লার ঘটনায় বিচার দাবি ৮ সংগঠনের

কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আগামী তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সনাতন ধর্মের আটটি সংগঠনের আয়োজিত ভিন্ন ভিন্ন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র জোট, শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট, জাগো হিন্দু পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল কুমিল্লার পূজামণ্ডপে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপ ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, বাড়িঘরে হামলাসহ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় শতাধিক পূজামণ্ডপ ধ্বংসসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরির জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে সব অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। অন্যথায় হিন্দু মহাজোট সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রীতি ভূষণ হোসেন ভট্টাচার্য বলেন, এ দেশে আমরা সবাই নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিছু দিন পরপরই দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নানাভাবে হামলা নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে। এসবের বিচার হয় না, বিচার হলে আজকের এই ঘটনা দেখতে হতো না।
অন্যান্যরা বলেন, দেশে এর আগেও ধর্ম অবমাননার অজুহাতে নাসিরনগর, রাউজান, ফটিকছড়ি, কক্সবাজার, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কয়েক ডজন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওইসব ঘটনার বিচার ও শাস্তি না হওয়ার কারণেই দেশে বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নির্যাতন হচ্ছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশগুলোতে তিন শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/ওএফ