ছুটির দিনেও দক্ষিণে চলেছে খালের সীমানা নির্ধারণের কাজ

ছুটির দিনেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) খাল উদ্ধারে চলমান বর্জ্য অপসারণ, চ্যানেল পরিষ্কারকরণ ও সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষিত ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় শনিবারও (২৩ জানুয়ারি) তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ, চ্যানেল পরিষ্কারকরণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পুরোদমে চলেছে।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এদিন জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে জিরানী খাল থেকে গত ১৫ দিনে ৩২ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়। ত্রিমোহনী থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের মাধ্যমে গত ১৫ দিনে জিরানী খালের দেড় কিলোমিটার অংশ থেকে এ বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে।
এদিকে আজ মান্ডা খালের মান্ডা ব্রিজ থেকে কদমতলী অংশের প্রায় ৩০০ মিটার খালের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারসহ অন্যান্য কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে গত ২০ দিনে ২৯টি পিট থেকে ১ হাজার ১১০.৮৯ টন এবং সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে গত ১৮ দিনে কালভার্টের ৪০টি পিট থেকে ৫১৯.৯৭ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও আজ নগরীর মান্ডা খাল ও শ্যামপুর খাল থেকে এবং টিটি পাড়া ওয়াসা পাম্প হাউজের মধ্যকার বর্জ্য ম্যানুয়ালি অপসারণ কার্যক্রম চলমান ছিল।
ছুটির দিনেও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রাখা প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, মেয়র ৩১ মার্চের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২টি বক্স কালভার্ট ও ৩টি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে সেগুলোতে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা পূরণে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য সপ্তাহে ১ দিনই আমরা ছুটি নিচ্ছি। শনিবার ছুটির দিন হলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ শেষ করতে আমরা কেউ সেই ছুটি নিচ্ছি না। সময় অনুযায়ী কাজ শেষ করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।
এএসএস/এমএইচএস