‘অনিয়ম বন্ধে’ কূটনৈতিক বন্ড সুবিধা ডিজিটালাইজড হচ্ছে
![‘অনিয়ম বন্ধে’ কূটনৈতিক বন্ড সুবিধা ডিজিটালাইজড হচ্ছে](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2021October/pororastro-hk-dp-20211019093902.jpg)
কূটনৈতিক বন্ড সুবিধায় অনিয়ম বন্ধে স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে। এ নিয়ে বন্ডেড ওয়্যারহাউসে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এজন্য সফটওয়্যার বানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস রফতানি ও বন্ড শাখা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কূটনৈতিক বন্ডেড ওয়্যারহাউসের জন্য বানানো সফটওয়্যারের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছে রাজস্ব বোর্ড। সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর জন্য মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) এনবিআরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
জানা যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার বিদেশি নাগরিকরাও কূটনৈতিক বন্ডেড ওয়্যারহাউস থেকে মদ ও সিগারেট জাতীয় পণ্য ছাড়াও অন্যান্য জিনিসপত্র শুল্কমুক্ত সুবিধায় কিনতে পারে। এক শ্রেণির কূটনীতিক ও রাজস্ব বোর্ডের কিছু কর্মকর্তা এ সুযোগের অপব্যবহার করছেন। এতে করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সূত্র বলছে, গত ২৩ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার বিভাগ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ প্রক্রিয়া অর্থাৎ বন্ডেড ওয়্যারহাউসে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে মতামত জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ব্যাপারে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা।
ফুড স্টাফ আমদানি ও পারচেজ সংক্রান্ত জটিলতা বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন থেকে খাদ্য সামগ্রী ক্রয়ের চাহিদা আছে, যা বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে সরাসরি আমদানি করা হয়। ঢাকার বন্ডেড হাউসগুলো থেকে কূটনীতিক ও বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ফুড স্টাফ ও অন্যান্য দ্রব্য কেনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনাপত্তি দিচ্ছে। এক্ষেত্রে SRO-237-Law/2003/2015-Cus এর অনুচ্ছেদ ফোর-বি সংশোধন করে সেখানে ফুড স্টাফ ও অন্যান্য দ্রব্য যুক্ত করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কূটনীতিক বা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তরা ওয়্যারহাউস থেকে পণ্য সংগ্রহের জন্য ব্যক্তিগত উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা বিব্রতকর এবং আন্তর্জাতিক চর্চা ও শিষ্টাচার পরিপন্থী। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কূটনীতিক বা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তরা তাদের নিজ দফতরে কর্মরত স্টাফদের মনোনয়ন দিয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এ বিষয়ে রাজস্ব বোর্ডকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। একইসঙ্গে পণ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে কূটনীতিক বা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তথ্যের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এনআই/এসএসএইচ