থানায় জিডি বা সহায়তার জন্য টাকা চাইলে কঠোর ব্যবস্থা

থানায় জিডি বা সহায়তার জন্য টাকা চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
রোববার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানায় জিডি বা সহায়তা নিতে এলে পুলিশের কেউ টাকা দাবি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপির কোনো সদস্য দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি টিম, একটি পরিবার। কেউ ভালো কাজ করলে সবাই প্রশংসিত হবে, আর কেউ খারাপ কাজ করলে সবাই আমাদের ভর্ৎসনা করবে। আমাদের জানমাল বাজি রেখে এ নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য ডিএমপি তৎপর রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মীয় অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর যেহেতু দেশের রাজধানী, তাই এখানে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আমাদের আরও বেশি তৎপর থাকতে হবে, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।
এসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর জন্য ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে নির্দেশনা দেন কমিশনার।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বী নয়, সব সম্প্রদায়ের লোকজন অংশগ্রহণ করছে। জোনাল ডিসিরাও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান করে একাত্ম ঘোষণা করে বলবেন, ‘আমরাও আপনাদের পাশে আছি’। ইতোমধ্যে ঢাকার বড় বড় পূজামণ্ডপ ও উপাসনালয়ে পুলিশের উপস্থিতি ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি।
এর আগে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সসহ ১০টি বিভাগকে বিশেষ পুরস্কার দেন তিনি।
এমএসি/আরএইচ