১ নভেম্বর থেকে কোয়ারেন্টাইন ছাড়া থাইল্যান্ড ভ্রমণ

আগামী ১ নভেম্বর থেকে টিকাপ্রাপ্ত বাংলাদেশী ভ্রমণকারীরা ‘স্যান্ডবক্স স্কিমে’র আওতায় কোয়ারেন্টাইন ছাড়া থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারবেন। এ নিয়ে শিগগিরই একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ঢাকার থাই দূতাবাস।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদী সুমীতমোর। এ সময় এ তথ্য জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত জানান, থাইল্যান্ডের পর্যটন এলাকায় স্যান্ডবক্স স্কিমের অধীনে ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ থেকে টিকাপ্রাপ্ত ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই অনুমতি দেওয়া হবে। থাইল্যান্ডের নির্দিষ্ট এলাকায় এক সপ্তাহ কাটানোর পর যে কোনো এলাকায় চলাচলের অনুমতি পাবেন ভ্রমণকারীরা। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়ে থাই দূতাবাস দ্রুতই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড স্বাধীনতার পর থেকে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে। বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা সেবা, পর্যটন, বিদেশি বিনিয়োগ, যোগাযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও যোগাযোগ বাড়াতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাধা দূর করতে হবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আগামী বছর দুই দেশ যৌথভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের দিকগুলো জানান। তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে আরও থাই বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারেন এবং সুবিধা পেতে পারেন।
বৈঠকে শাহরিয়ার আলম কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য থাই সহযোগিতার ওপর জোর দেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশ ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত।
প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তার জন্য থাইল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে দেশটির রাজনৈতিক সহায়তা কামনা করেন। একইসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতার জন্য থাই সমর্থন চান।
এনআই/এসকেডি