বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কবার্তায় যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

জো বাইডেন সরকারপ্রধান হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো বিদেশে অবস্থানরত নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
তাদের দেওয়া সতর্কবার্তায় বাংলাদেশে বিদেশিদের ওপর হামলার ইঙ্গিত না থাকলেও ভ্রমণে নাগরিকদের সতর্ক করে মার্কিন প্রশাসন। করোনাভাইরাসের পাশাপাশি অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও অপহরণের বিষয়গুলো উল্লেখ করে নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণে এ সতর্কতা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ‘বাড়িতে অবস্থানের’ আদেশ প্রত্যাহার করেছে। এছাড়া গণপরিবহন এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও কিছুটা চালু করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিদেশিদের কেন্দ্র করে অপরাধের হার খুবই কম। তবে জনবহুল এলাকায় ছোট ছোট অপরাধ ও পকেটমারের বিষয়ে ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।
বার্তায় বলা হয়, চুরি, ছিনতাই, হামলা এবং অবৈধ মাদক পাচারের মতো অপরাধ বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে সর্বাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত। তবে এসব ঘটনায় বিদেশি নাগরিকদের টার্গেট করার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বিদেশিরা হয়তো সময় ও অবস্থান তথা পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন।
সেখানে আরও বলা হয়, করোনার কারণে বাংলাদেশ ভ্রমণে তৃতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।
এছাড়া সন্ত্রাস ও অপহরণের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ভ্রমণে বিশেষভাবে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। এসব এলাকায় যেতে নাগরিকদের বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এফআর
