নারীদের নিরাপদ বাহনের তালিকায় স্কুটি
রাজধানী ঢাকাকে বলা হয় জ্যামের শহর। অনেকে বলেন, এই শহরে একটি ট্রাফিক সিগন্যালে পড়লে নাকি জীবন থেকে ১০-১৫ মিনিট হারিয়ে যায়। মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল, আর অহেতুক জ্যাম- সবমিলে অনেকটা অতিষ্ঠ এই নগরের বসবাসকারীরা।
যানজটের শহর ঢাকায় সময় বাঁচাতে বিকল্প বাহন হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে স্কুটির। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন স্কুটি চালানোর দিকে ঝুঁকছেন। গণপরিবহনে নিরাপত্তার অভাবে অধিকাংশ নারী এখন বাহন হিসেবে বেঁছে নিচ্ছেন স্কুটি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সুরমা ইয়াসমিন সুমনা। নিজের শখের জায়গা থেকে ২০১৭ সাল থেকে তিনি স্কুটি চালাচ্ছেন। পরে ২০১৮ সালের শেষের দিক থেকে নারীদের স্কুটি প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১০০ নারীকে স্কুটি চালানো শিখিয়েছেন সুমনা।
নারীদের স্কুটি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণপরিবহনে অনেক ভিড়ের মধ্য দিয়ে নারীদের যাতায়াত করতে হয়। এতে অনেক সময় নারীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। গণপরিবহন এড়িয়ে স্কুটিতে নারীরা যেনো নিরাপদের যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য আমার এই উদ্যোগ। যেন সব নারীই বলতে পারেন, ‘আমরা নারী, আমরাও পারি’।
সুমনা বলেন, আমি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। প্রয়োজনের তাগিদে স্কুটি আমার নিরাপদ সঙ্গী হতে পারে।
সুমনার স্কুটি স্কুলের ছাত্রী তৌহিদা আফরোজ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্কুটির দাম বাংলাদেশে অনেক বেশি। এ কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক নারী স্কুটি কিনতে পারেন না। দাম কমে আসলে অনেক নারীই স্কুটি চালিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন।
এমএইচএস