টিকা নিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

একবছরের অল্প কিছু বেশি সময়ে মহামারি করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রাণ গেছে ২১ লাখের বেশি। এরইমধ্যে এই মহারামি থেকে মুক্তির আশা দেখাচ্ছে টিকা। সেই টিকা পৌঁছেছে বাংলাদেশেও। তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সেই টিকা নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম টিকা নেয়া ব্যক্তি হিসেবে নাম লেখালেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তিনি টিকা নিয়েছেন। কুর্মিটোলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে দিয়ে গতকাল দেশে করোনার টিকাপ্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
টিকা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমি আপনাদের সামনেই টিকা নিয়েছি। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। গতকাল আমাদের যারা টিকা নিয়েছে, তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একধরনের গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
টিকা সম্পর্কে প্রথমে যে ধরনের মিথ্যা, গুজব এবং ষড়যন্ত্র চলছিল, সেগুলো মিডিয়ার কল্যাণে আমরা অনেকটাই প্রতিরোধ করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পেরেছি।
অনেক উন্নত দেশ টিকার জন্য হাহাকার করছে, কিন্তু আমরা সারা পৃথিবীর মধ্যেই প্রথম দিকে টিকা পেয়ে গেছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই টিকা কার্যক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমরা সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করেছি।
আমাদের যারা টিকা নিয়েছে, তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একধরনের গুজব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা বলতে চাচ্ছে মন্ত্রী-এমপিরা টিকা নিচ্ছে না।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। বাংলাদেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির উপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
টিআই/এনএফ