টিকা কেন্দ্রে ঈদ উৎসব বিরাজ করছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের পর আজ রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে আনন্দঘন পরিবেশে টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে ঈদ আনন্দ বিরাজ করছে। আপনারা আসুন, টিকা নিন। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ের কনভেনশন সেন্টারে টিকা কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে আমরা দেশবাসী সকলেই আনন্দিত। আজ টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সকলের মধ্যে ঈদের মতো আনন্দ উৎসব বিরাজ করছে। ঈদ আনন্দে টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে প্রতিটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এই আনন্দঘন পরিবেশে টিকা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এমপি-মন্ত্রীরা টিকা নিচ্ছেন। আমাদের স্বাস্থ্যসচিব নিয়েছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক নিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। তিনি ভ্যাকসিন হিরো, তিনিই প্রথম বাংলাদেশে করোনা টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন।
প্রথম দিনে যারা টিকা নিয়েছেন তারা সুস্থ আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তারা সকলেই ভালো আছেন। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের অসুবিধা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আমি এর আগেও বলেছি এই টিকা খুবই ভালো টিকা এবং আন্তর্জাতিক মানের একটি টিকা।
মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, তার মধ্যে অক্সফোর্ডের এই টিকা সবচেয়ে নিরাপদ। এর কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তারপরও যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের চিকিৎসক-নার্স স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছেন। সারা বাংলাদেশের আরও ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করবেন।
আপনি কবে টিকা নেবেন- সাংবাদিকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করলে তার জবাব না দিয়ে স্রেফ ধন্যবাদ জানিয়ে টিকাকেন্দ্র ত্যাগ করেন মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয় থেকে পরে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে টিকা দান কার্যক্রম পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, করোনা টিকা নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা মানুষের ভালো চায় না।
বাংলাদেশে টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ সপ্তাহ পরে দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ ৪ সপ্তাহ, আবার কোনো দেশ ৭ সপ্তাহে পরে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিচ্ছে। আমার ৮ সপ্তাহে পরে দিচ্ছি। এতে কোনো ভুল নেই। আমাদের দেশের জনসংখ্যার চাপ বিবেচনায় নিয়ে এটা করা হচ্ছে।
টিআই/এএইচআর /এনএফ