‘যেমন ছিলাম তেমনই আছি’, টিকা নিয়ে বললেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে টিকা নেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
টিকা নেওয়ার ১০ মিনিট পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, টিকা নেওয়ার আগে আমি যেমন ছিলাম এখনও তেমনই আছি, ভালো আছি। টিকা নিয়ে বিরোধী দল ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি টিকা নিয়ে তাদের অপপ্রচার খণ্ডন করলাম।
এদিকে দুপুরে ঢামেকে টিকা কার্যক্রম দেখতে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, এটা নিরাপদ টিকা। আশা করছি আমরা দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে পারব। সচিব, প্রতিমন্ত্রীরা টিকা নিয়েছেন। সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নেবে। শুধু টিকা নিলেই হবে না, টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এটা প্রথম ডোজ। এটা দিলে করোনা প্রতিরোধ হবে না। দ্বিতীয় ডোজের পর কার্যকারিতা বোঝা যাবে। প্রথম ডোজের ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢামেক পরিচালক ব্রি. জে. নাজমুল হক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যখন টিকার ট্রায়াল শুরু হয়, তখন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা টিকা ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করি। টিকা আসার পর ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। টিকা নেওয়া প্রথম পাঁচজনের মধ্যে আমিও ছিলাম। আমার টিকা নিয়ে তেমন অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। রাতেও কোনো সমস্যা হয়নি।
ঢামেক সূত্র জানায়, ঢামেকের করোনা টিকাদান কেন্দ্রে ১৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনার টিকা নেবেন। তাদের মধ্যে ২০ জন চিকিৎসক, ২০ জন নার্স ও ১০০ জন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী ও স্টাফ।
এরআগে দেশে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে প্রথম টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। বাংলাদেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির উপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এআর/ওএফ