বিএনপির কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় ইভিএম ভেঙে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ইভিএম ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নির্বাচনী ভোট কম পড়ার কারণ জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত সেখানে ভোটার টার্নআউট কম হওয়ার প্রধান কারণ করোনা। দ্বিতীয়ত নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও শেষের দিকে তারা হাল ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে ছিল। নির্বাচনের দিন তারা (নেতাকর্মী) কিছু সহিংসতা করেছে, বিশেষ করে তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় তারা হামলা চালিয়ে ইভিএম ভেঙে দিয়েছে।’
হামলা চালিয়ে আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের ছেলেকে তারা আহত করেছে, আরও বেশ কয়েকজন তাদের হামলায় আহত হয়েছে। কার্যত নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য বিএনপির যেভাবে মাঠে থাকা প্রয়োজন ছিল সেভাবে মাঠে ছিল না, বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিকভাবে আমি বলব বাংলাদেশে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সবসময় ছোট-খাট ঘটনা ঘটেছে এবং এটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং পশ্চিম বাংলায়ও ঘটে। কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ১৯ জন মানুষ মারা গেছেন। এমনকি কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রুপা গাঙ্গুলীর নির্বাচনী প্রচারণার মিটিং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভেঙে দিয়েছিল তার উপস্থিতিতে। এতে রুপা গাঙ্গুলীকে দৌড়ে পালিয়ে একটা ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।
সে ধরনের ঘটনা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটার টার্নআউট যদিও কম, তবে করোনার মধ্যে সেটি আশা করাও সঠিক নয়।’
নির্বাচনের ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে প্রকৃতপক্ষে ১৯৯৪ সালের পর কার্যত বিএনপি কখনো সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করেনি। ২০১০ সালে মঞ্জুর আলম সাহেবকে তারা মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তিনি কিন্তু আওয়ামী লীগের মানুষ। সারাজীবন তিনি আওয়ামী লীগ করেছেন, বিএনপির আহ্বানে তিনি হায়ারে খেলতে গিয়েছিলেন।’
চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি দাবি করে দলটির এ যুগ্ম সাধারণ বলেন, ‘এবারও তাদের কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করেনি। নির্বাচনের সময় তারা এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করছে, কিন্তু এজেন্ট তো যায়নি, বের করবে কাকে? বেশিরভাব জায়গায় বিএনপির এজেন্ট যায়নি। সুতরাং যে অভিযোগুলো করছে এগুলো গদবাধা অভিযোগ, মুখ রক্ষার জন্য অভিযোগ, নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা বলার মতো অভিযোগ। এছাড়া অন্য কিছু না।’
এসএইচআর/জেডএস