বিশ্বে প্রথম ডিজিটাল ডাক টিকিট প্রদর্শনী করা দেশের জন্য গর্বের

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উন্নত বা পশ্চিমা কোনো দেশের আগে প্রথম ডিজিটাল ডাক টিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারাটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রথম ডাক টিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারায় আমরা আমরা গর্বিত জাতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে ওঠায় এ ঐতিহাসিক কাজটি আমরা করতে পেরেছি। এটি বাঙালী জাতির গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব। এটি ভাবতেই বুকটা ভরে যায় যে কোনো উন্নত বা পশ্চিমা দেশ নয়, ডিজিটাল ডাক টিকিট প্রদর্শনী আমরা প্রথম করলাম।’
মন্ত্রী বলেন, এর ধারাবাহিকতাতেই আমাদের ডাক অধিদফতর ডিজিটাল হচ্ছে। এর প্রারম্ভিক কাজ বেশ এগিয়েছে এবং আমাদের ডাক টিকিট বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেখতে পাবে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে অনলাইনে ফেডারেশন অব ইন্টার এশিয়া ফিলাটেলির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-২০২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল স্মারক ডাকটিকিট প্রদর্শণীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. কাজী শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, এফআইপির প্রেসিডেন্ট বার্নার্ড বেস্টন এবং এফআইএপির প্রেসিডেন্ট ড. প্রকোপ চিরাকীতি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, স্মারক ডাক টিকিট ইতিহাসের বাহক। স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশের মাধ্যমে রেখে যাওয়া জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্মরণীয় করে রাখা যায় এবং যখন খুশি যে কেউ ডাক টিকিটের মাধ্যমে ইতিহাসকে তার চোখের সামনে দৃশ্যমান করতে পারেন।
তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ২০২১’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ডাক প্রদর্শণীকে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপণ করে গেছেন। তার সাড়ে তিন বছরের শাসনে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার বীজ বপণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের অংশীদার করেন ও ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লবের জন্য ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী তিনটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। পরে মন্ত্রী এ উপলক্ষে একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
এসএসএইচ
