আশ্বাসেও সড়ক ছাড়ছে না শ্রমিকরা

বেতন-ভাতাসহ সকল দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দেওয়ার পরও মিরপুর-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও মিরপুর পুলিশের উপ-কমিশনার আ স ম মো. মাহাতাব উদ্দিনের অনুরোধ মানছেন না আন্দোলনরত জিন্স ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টার দিক থেকে রাজধানীর মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
শ্রমিকদের বক্তব্য, অনেক অজুহাত আশ্বাস বাণী শোনা গেছে। কিন্তু দাবি-দাওয়া মানা হয়নি। এবার ঘটনাস্থলে মালিককে আসতে হবে। আমাদের দাবি শুনতে হবে, মানতে হবে, কারখানা খুলে দিতে হবে। নইলে রাস্তা ছাড়বেন না তারা।
কোহিনুর বেগম নামে এক শ্রমিক বলেন, আগে থেকে কিছু না জানিয়ে ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই কারখানা বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এই শ্রমিকরা গত কোরবানি ঈদে বোনাস পাননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা গতকাল শনিবার কারখানায় এসে বন্ধ পেয়েছি। যোগাযোগ করা হলে বিজিএমইএতে যাওয়ার কথা বলেছে মালিকপক্ষ। আজও কারখানায় এসে দেখি কারখানা বন্ধ। কারখানা বন্ধ করে দিলে যেসব নিয়ম মানতে হয় তা না মেনেই কারখানা বন্ধ করা অমানবিক। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমরা সড়কে নেমেছি।
মোসলেমা বেগম নামে আরেক শ্রমিক বলেন, বিজিএমইএ প্রতিনিধি আসছে। কিন্তু বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে মালিক। তিনি পলাতক, আসছেন না। তাহলে আমরা কার কথা শুনবো। মালিক আসুক, শ্রমিকদের সাথে কথা বলুক তাহলে আমরা সড়ক ছেড়ে যাবো।
রাস্তা অবরোধের দুই ঘণ্টাতেও অবরোধ সরাতে না পেরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মো. মাহতাব উদ্দিন শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মাইক হাতে ঘোষণা করেন, আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা সড়ক ছেড়ে যান। কারখানায় ফিরে যান। মালিক আসবেন। আমাদের দুই দিনের সময় দিন সব সমাধান করা হবে।
এরই মাঝে ডিসির মোবাইলফোনে মাইক লাগিয়ে শ্রমিকদের অবরোধ ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক।
তিনি বলেন, আপনাদের সব দাবি মানা হবে। একটু তো সময় দিতে হবে। আপনাদের মধ্যে থেকে চারজন প্রতিনিধি, পুলিশ, বিজিএমইএ ও আমি নিজে থেকে সব সমাধান করবো। কারখানা না খুললে দাবি আদায়ের আশ্বাস দেন তিনি। তখন শ্রমিকরা সমস্বরে বলেন, আগে মালিক আসবে, তারপর আলোচনা।
আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যস্ত এই সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। যে কারণে মিরপুর-১০, মিরপুর-১ ও রুপনগর এলাকার যানবাহনগুলোকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
• এই প্রতিবেদনের পরবর্তী আপডেট : মালিকের দেখা পেয়ে সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা
জেইউ/এনএফ