সামরিক অনুদানের চূড়ান্ত সম্মতিপত্র ঠিক করতে আরও সময় নিলো ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশটিকে চূড়ান্ত সম্মতিপত্র পাঠাতে আরও সময় চেয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে এ সংক্রান্ত নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতিপত্র পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মার্কিন অনুদান পেতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্র, আইন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে একটু সময় লাগছে। যার জন্য দ্বিতীয় দফায় মার্কিন দূতাবাসে নোট ভারবাল পাঠিয়ে সময় চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা সম্মতিপত্র পাঠাতে পারব।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে লিহে নামক আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে। আইনের সংশোধনীতে অনুদান পাওয়া দেশগুলোর কোন সংস্থা অনুদানের অর্থ পাচ্ছে, সেটি জানার জন্য চুক্তি করার বিষয়ে একটি ধারা সংযোজিত হয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশকেও এ চুক্তির আওতায় আসতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সহযোগিতা পেতে হলে সদ্য শেষ হওয়া বছরের শেষ মাসের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে দেশটি। ওয়াশিংটন-ঢাকাকে এ সংক্রান্ত চুক্তি করতে গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুরোধ জানিয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে। সে অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মতিপত্র পাঠানোর কথা ছিল ঢাকার। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত আলোচনা-আলোচনা শেষ করতে না পারায় দ্বিতীয় দফায় সময় চেয়েছে ঢাকা।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মার্কিন দূতাবাসে নোট ভারবালে এবার সম্মতিপত্র পাঠানোর বিষয়ে কোনো সময় উল্লেখ করেনি ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তিও জানানো হয়নি।
গত ২৮ ডিসেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য মার্কিন অনুদান বিষয়ক লিহে চুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছিলেন, মার্কিন অনুদান পেতে সম্মতিপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিজেদের রক্ষাকবচ বা নিরাপত্তা বেষ্টনী ঠিক রেখেই সামনে এগোবে। আমাদের নিজেদের বেসিক যেসব প্রিন্সিপাল আছে তার ভিত্তিতে সার্বিকভাবে আমাদের ল’ অ্যান্ড এনফোর্সমেন্টের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের যে এনগেজমেন্টগুলো আছে সেগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না, বিষয়গুলা আমরা দেখছি।
এনআই/এমএইচএস