তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী আইন সংশোধনের দাবি

তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরী আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো। আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা কিছু স্বার্থন্বেষী মহলকে দেখতে পাচ্ছি যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তামাক কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করছে। এছাড়াও বিদ্যমান তামাক আইনের কিছু জায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে। যার কারণে আইনের কিছু কিছু জায়গায় তামাক কোম্পানিগুলো সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর শুধু তাই না, তামাক পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। তামাকের কারণে আমাদের বিপুল পরিমাণ বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকেই তামাকমুক্ত নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসা খুবই জরুরি এবং প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তি জায়গা থেকে জাতীয়ভাবে তামাককে নির্মূল করতে এগিয়ে আসতে হবে। এটি খুবই দুঃখজনক যে পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকে তামাককে এখনও দেশের একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনগুলো কার্যকর নয়। তাই এখনই এগুলোকে সংশোধন পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশ থেকে তামাক নির্মূল করা হবে। কিন্তু আমরা কিভাবে সেটি নির্ণয় করবে, এর কোনও সুস্পষ্ট বক্তব্য পরিকল্পনায় পাইনি। তা থেকে বোঝা যায়, এই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন এখনও কার্যকর হয়নি। এটি খুবই দুঃখজনক যে, তামাককে সরকার একটি অর্থকারী ফসল হিসেবে ঘোষণা করেছে। শুধুমাত্রই তামাকের কারণে বিপুল পরিমাণ বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিত এখনই এ তামাক উৎপাদন ও বন্ধে একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলা। তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে হত্যা আইনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কারণ প্রতি বছর ১ লাখ ৬২ হাজার লোক তামাক সেবন করে ‘নিহত হন।’ তামাক কোম্পানিগুলো স্পষ্ট হত্যাকারী। তামাক কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সরকারের ২০৪১ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব না।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- মাদকবিরোধী সংগঠন প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার, ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজমুল হায়দার, টিসিআরসির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল, আইডব্লিউবি প্রতিনিধি আনম মাসুম বিল্লাহ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমুখ।
এইচএন/এনএফ